ইদানীং একটা কথা প্রায়ই শোনা যায়- ‘পাকিস্তানিদের বর্বরতাকেও ছাড়িয়ে গেছে।’ যারা বলেন, তারা তাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের নিষ্ঠুরতার কথা বোঝাতে গিয়েই কথাগুলো বলেন। যখন বলেন, তখন খেয়ালই করেন না, কিসের সঙ্গে কিসের তুলনা তারা করছেন। নতুন প্রজন্মের মানুষ তাদের কথায় উদ্বুদ্ধ হয়। ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্ক খুব কম বলে তা বিশ্বাসও করে। এবং এই এক বয়ানের মাধ্যমে ১৯৭১ সালে চালানো অত্যাচারকে একটি সাধারণ ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত করার দুরভিসন্ধি চরিতার্থ হয়।
রাজনীতি ক্রমেই পারস্পরিক সন্দেহ, অবিশ্বাস আর ঘৃণার ময়দান হয়ে ওঠায় কথাটা বলতে হলো। কেউ কাউকে সহ্য করতে পারে না বলে নিজেদের কথা বলার সময় অন্যদের হাজির করে মূর্তিমান শয়তান হিসেবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায়, যুক্তির মাধ্যমে কেউ কাউকে মোকাবিলা না করে পেশিশক্তি দিয়ে মোকাবিলা করার কথা ভাবে। আর এ রকম পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে মুখ থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে এমন সব কথা, যা বুদ্ধি-বিবেচনা দিয়ে বিচার করা যায় না। ‘পাকিস্তানিদের বর্বরতাকে ছাড়িয়ে গেছে’- সে রকমই একটি পরিহাস।