মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত পর্যায়ে দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের এ দেশীয় দোসর আলবদর ও আলশামস বাহিনীর গুপ্তঘাতকেরা নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল দেশের কৃতী সন্তান বুদ্ধিজীবীদের। ৯ মাসের যুদ্ধের শেষ দিকে বাঙালি জাতি যখন আসন্ন বিজয়ের আনন্দে উদ্বেলিত, ঠিক সেই মুহূর্তে বাঙালির মেধা ও মননকে ধ্বংস করার জঘন্য তৎপরতায় মেতে ওঠে গুপ্তঘাতকেরা।
১৯৭১ সালের ১৩ ও ১৪ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে কেবল ঢাকা শহরেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, শিল্পী-সাহিত্যিকসহ প্রায় দেড় শ বুদ্ধিজীবী ও পেশাজীবীকে অপহরণ করে প্রথমে মোহাম্মদপুরে আলবদর ক্যাম্পে নিয়ে চালানো হয় পাশবিক নির্যাতন। কাউকে কাউকে অবশ্য কয়েক দিন আগেই তুলে নেওয়া হয়েছিল। সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেনকে চামেলীবাগের বাসা থেকে তুলে নেওয়া হয়েছিল ১০ ডিসেম্বর গভীর রাতে। অপহরণ করা বুদ্ধিজীবীদের পরে রায়েরবাজার ও মিরপুরে বধ্যভূমিতে নিয়ে বেয়োনেট দিয়ে খুঁচিয়ে, গুলি করে হত্যা করা হয়।