চোখ মানুষের শরীরের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির একটি। অনেকেটা ক্যামেরার মতো এই জৈবিক অঙ্গ যে কোনও প্রাণীকে দেখার, অনুভব করার ক্ষমতা দেয়। বর্তমান জীবনযাত্রার কারণে বেশ কিছু সমস্যা তৈরি হচ্ছে চোখে। তৈরি হচ্ছে দৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা। এর প্রধান কারণ হতে পারে বয়স-সম্পর্কিত ম্যাকুলার অবক্ষয়, ছানি, ডায়াবেটিক রেটিনোপ্যাথি, গ্লুকোমা এবং শুষ্ক চোখ। আগে থেকেই ছোট ছোট সমস্যায় নজর দিলে চোখের ক্ষতি রোধ করা যায়।
চোখের যত্নে যা করণীয়
২০-২০-২০ সময় বিন্যাস: বর্তমান পৃথিবীতে চোখের সব থেক বড় শত্রু স্ক্রিন টাইম। তরুণ প্রজন্ম ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, টেলিভিশন এবং অন্য নানা ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সঙ্গেই দিনের বেশিরভাগ সময় কাটায়। করোনা অতিমারির সময় হওয়া লকডাউনে এই প্রবণতা বেড়েছে কয়েকগুণ। অথচ, অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম অর্থাৎ এই সমস্ত ডিভাইসের দিকে তাকিয়ে থাকে চোখের ক্লান্তি তৈরি করতে পারে।
চক্ষু বিশেষজ্ঞরা এ জন্য ২০-২০-২০ কৌশলটি সুপারিশ করেন। কী এই ২০-২০-২০ কৌশল!? চিকিৎসকেরা বলেন, প্রতি ২০ মিনিট স্ক্রিন টাইমের পর নিজের থেকে ২০ ফুট দূরের কোনও বস্তুর দিকে ২০ সেকেন্ড তাকিয়ে থাকতে হবে নিয়ম করে। যেমন ধরা যাক-জানলার বাইরে একটি গাছের দিকে তাকানো।
ব্লু কাট লেন্স এবং সানগ্লাস ব্যবহার: পড়াশোনা বা পেশাগত প্রয়োজনে অনেককেই দীর্ঘক্ষণ ডিজিটাল ডিভাইসে সময় ব্যয় করতে হয়। এমন হলে ব্লু লাইট ব্লকার লেন্স বা ব্লু কাট লেন্স পরা যেতে পারে। এ গুলির একটি বিশেষ আবরণ রয়েছে যা ক্ষতিকারক উচ্চ-শক্তির নীল আলো এবং অতিবেগুনি রশ্মির চোখের মধ্যে প্রবেশ করা রোধ করতে পারে৷ এই কাজ করতে পারে সানগ্লাসও। তবে সানগ্লাস কেনার সময় দেখে নিতে হবে সেগুলি ৯৯ থেকে ১০০ শতাংশ ইউভি-এ এবং ইউভি-বি রশ্মি প্রতিরোধ করতে পারে কি না।