সত্যি বলতে ঢাকা শহরের ধুলোবালি থেকে আপনার স্নিকার্সকে বাঁচানোর উপায় আসলে একটাই। সেটা হলো স্নিকার্স না পরে খালি পায়ে হাঁটা! কিন্তু একুশ শতকের বাস্তবতায় তার তো কোনো সুযোগ নেই। অর্থাৎ জুতা আপনাকেই পরতেই হবে। আর তখন ধুলাবালিতে জুতা অপরিষ্কার হবেই।
তবে আমরা চাই নিয়মিত ব্যবহারের পরেও আপনি যেন নিজের স্নিকার্স পরিষ্কার রাখতে পারেন। আর দেরি না করে আসুন জেনে নিই আমাদের প্রিয় সব স্নিকার্স যত্নে রাখার কয়েকটি উপায়।
খরচ করুন ক্লিনজিং জেলে
ক্লিনজিং জেল একদম জাদুর মত কাজ করতে পারে। সবচেয়ে একরোখা দাগও চিরতরে বিদায় করে দিতে পারে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই। বিশেষ করে স্নিকার্স সাদা হলে ক্লিনজিং জেলের কোনো বিকল্পই নেই। ঢাকার রাস্তা আপনার স্নিকার্সের যতই বেহাল দশা করুক না কেন, এক ঘষাতেই সব হয়ে যাবে পরিষ্কার। তবে অতিরিক্ত ব্যবহার করবেন না, এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। ঘরের পাশের মুদি দোকানে কিংবা সুপারস্টোরে হয়তো এই ক্লিনজিং জেল পাবেন না। সেক্ষেত্রে নিশ্চিন্তে দারাজের দ্বারস্থ হতে পারেন।
একেকদিন একেক জোড়া
একেকদিন একেক জোড়া জুতা পরে বের হন। একই জুতা প্রতিদিন না পরলে রাস্তার ধুলাবালি লাগবে কম, স্নিকার্স ময়লাও হবে কম। ফলে ক্লিনজিং জেল বারবার ব্যবহারের প্রয়োজন পড়বে না, সেই সংক্রান্ত ক্ষয়ক্ষতিও কম হবে। সেইসঙ্গে স্নিকার্সের বিরক্তিকর ভাঁজও এড়ানো যাবে। সব মিলিয়ে, একজোড়া বাড়তি স্নিকার্স হলে মন্দ হয় না।
ওয়েট ওয়াইপ্স এবং গ্লাস ক্লিনার্স
বাজি ধরে বলতে পারি আজকের আগে অনেকেই জানতেন না, ওয়েট ওয়াইপ্স আর গ্লাস ক্লিনার্স দিয়ে জুতা পরিষ্কার করা যেতে পারে। বিশেষ করে এগুলো একসঙ্গে ব্যবহার করলে দারুণ ফল পাওয়া যায়। অভিজ্ঞ স্নিকার্স সংগ্রাহকরা অনেক বছর ধরে এই কৌশলটি ব্যবহার করে আসছেন। ক্লিনজিং জেলের মতো খুঁজে পাওয়ার ঝক্কি নেই এতে। ওয়েট ওয়াইপ্স এবং গ্লাস ক্লিনার্স বাড়ির কোণে খুঁজে না পেলেও এলাকার দোকানে নিশ্চয়ই পাবেন!