দুজনের মধ্যে নানা কারণে ঝগড়াঝাটি হতেই পারে। মাঝে মাঝেই এই তিক্ততা বেড়ে যায়। তবে কিছু বিষয় খেয়াল রাখলে এই সমস্যা কমতে পারে। যেমন-
১. পারস্পরিক বোঝাপড়ার উপর নির্ভর করে প্রতিটা সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিশেষ মানুষ হিসেবে প্রত্যেকে এমন কাউকে খোঁজে যে বিপদে পাশে থাকবে। কথা কাটাকাটি বা মতের অমিল হতেই পারে। কিন্তু তার জন্য সম্পর্কে তিক্ততা আসবে না। বরং কঠিন সময়েও হাত ধরে এগিয়ে যাওয়ার সাহস দেবে।
২. সুন্দর একটি সম্পর্ক গড়ে তুলতে পরস্পর পরস্পরকে যথেষ্ট সময় দিতে হবে। সম্পর্কের জন্য কতটা সময় ও চেষ্টা রয়েছে তার উপরেই ভাঙা গড়া নির্ভর করে। মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের ভাষায়, নিজের প্রয়োজনের পাশাপাশি সঙ্গীর চাহিদা সম্পর্কেও সচেতন থাকতে হবে। শুধু নিজের কথা ভাবতে থাকলে সম্পর্ক দুর্বল হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৩. নিজের কথা ভাবতে থাকলে মনে সম্পর্ক নিয়ে দুশ্চিন্তা আসতে থাকে। দেখা যায়, সম্পর্কের সমস্যাগুলোই বড়ো হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এছাড়া, যে কোনও বিষয়ে একতরফা সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। যে কোনও ঘটনায় মন নিজের মতো করে অর্থ করে নিতে শুরু করে। এতেই বাড়ে সম্পর্কের জটিলতা।
৪. নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারা ভীষণ জরুরি। যে কোনও উত্তেজনার মুহূর্তে আবেগে ভেসে গেলে সমস্যা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। যেমন- কখনও কখনও মেসেজের উত্তর আসতে দেরি হতেই পারে। এর জন্য সবসময় দুশ্চিন্তা করা ঠিক নয়। দুশ্চিন্তা করে আরও মেসেজ করলে বিতর্কের শুরু হতে পারে।
৫. যে কোনও সিদ্ধান্ত একা না নিয়ে দুজনে মিলে নেওয়া ভালো। এতে সম্পর্কের মধ্যে একটা নির্ভরতা গড়ে ওঠে। পাশাপাশি সঙ্গী বুঝতে পারে আপনি তাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন। এতে দুজনের বন্ধন আরও শক্তও হয়।