ডলার সংকটের কারণে সেলফোন অপারেটররা ফোরজি ও ফাইভজির কার্যক্রম সম্প্রসারণ করতে পারছে না। অন্য সব খাতের মতো সেলফোন অপারেটরদেরও আমদানি ব্যয় বেড়েছে। সর্বশেষ প্রান্তিকে বেড়েছে মূলধনি ব্যয়। একই সঙ্গে বেড়েছে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হারজনিত ক্ষতি। বাড়তি এ চাপে শ্লথ হয়ে পড়েছে বিদ্যমান নেটওয়ার্ক রক্ষণাবেক্ষণ ও ফোরজির সম্প্রসারণকাজ। এমন পরিস্থিতিতে আগামী বছর ফাইভজির বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালুর কথা থাকলেও তা পিছিয়ে যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
খাতসংশ্লিষ্টদের দাবি, দেশের সিংহভাগ এলাকাই ফোরজি সেবার আওতায় নিয়ে এসেছেন তারা। এক্ষেত্রে স্থাপিত টাওয়ারের আওতাধীন এলাকা ও জনগোষ্ঠীকে বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। তবে মানসম্পন্ন সেবা দেয়ার প্রয়োজনে নিয়মিতভাবে নেটওয়ার্ক উন্নয়ন করতে হয় তাদের। একাধিক টাওয়ারের মধ্যবর্তী স্থানে নেটওয়ার্ক দুর্বল বা অনুপস্থিত থাকতে পারে (নেটওয়ার্ক পকেট), আবার জনবহুল এলাকায় নেটওয়ার্কের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। এসব ক্ষেত্রে নতুন করে টাওয়ার বা ই-নোড-বি স্থাপনের প্রয়োজন হতে পারে। দেশের বাইরে থেকে আনতে হয় প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রাংশ।
অপারেটরদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ডলার সংকটে মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানিতে নতুন করে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারছে না তারা। আগের এলসির বিপরীতে আসা যন্ত্রাংশ সরবরাহ থাকায় এখনো নেটওয়ার্ক উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে। তবে পরিকল্পনা অনুযায়ী নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণকাজ সেভাবে করা যাচ্ছে না। এ পরিস্থিতিতে অনেক অপারেটরই সেবার মানোন্নয়নে আমদানিনির্ভরতা কমাতে বিকল্প খুঁজছে।