You have reached your daily news limit

Please log in to continue


কোনটা সংঘর্ষ, কোনটি হামলা– সাধারণ মানুষ জানেন

বিএনপির সাধারণ কয়েকটা সভা ঠেকাতে সরকার গত কিছুদিনে যতটা মনোযোগ দিয়েছে, হায়, এ দেশের সাম্প্রতিক জটিল সমস্যাগুলো সমাধানে যদি ততটা মনোযোগ দিত! কত ভালো হতো, যদি সরকার এভাবেই সব বাহিনীসহ নেমে পড়ত বিদেশে পাচারকৃত টাকা ফিরিয়ে আনতে, অবৈধ কায়দায় গুদামজাতকৃত পণ্য উদ্ধারে, বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করে স্থিতিশীলতা আনতে, গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিচারকাজ সমাধা করতে, শহর থেকে মশা তাড়িয়ে অপমৃত্যু ঠেকাতে...আরও কত সমস্যা যে আমাদের আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে জীবনের হুমকি হয়ে উঠেছে, তাদের সরকার একবার বিএনপির মতো প্রতিপক্ষ ভাবতে পারত যদি! এদের সরানোর মিশনে সরকার সোয়াট নামাত, গাদা গাদা পুলিশ নামাত একবার...সেই তৎপরতা আর কৃতিত্ব দেখলে কে আর ফিরে তাকাত অন্য কোনো দলের দিকে?

চারদিকে সমস্যা ঘিরে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে যাওয়ার পরও সরকারের নজর কেবল বিএনপির গতিবিধির দিকে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতাসীন থাকাকালে বিএনপির অস্তিত্বের প্রমাণের চেয়ে বড় হুমকি সরকার আর কিছুকেই মনে করে না। বিচিত্র প্রশ্রয়ে সব সমস্যাকে জিইয়ে রেখে কেবল বিএনপির জেগে ওঠাকেই তাবৎ দেশের মূল সমস্যা মনে করে। সংসদে নামমাত্র উপস্থিতি ছিল বিএনপির, অথচ তাদের কল্পিত ‘বিরোধী দল’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। বস্তুত কিছু বাস্তব-অবাস্তব মামলা, হয়রানি, গ্রেপ্তার ও গুমের ঘটনার পর সরকার হয়তো ধরেই নিয়েছিল যে বিএনপির অস্তিত্ব বিলীন করা গেছে। ওদিকে বেকায়দায় পড়ে বিএনপিও ছিল দীর্ঘ শীতনিদ্রায় নিমজ্জিত। নির্বাচন সামনে রেখে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে নিয়মিত সভা-সমাবেশের আয়োজনের মাধ্যমে বিএনপির জেগে ওঠা আকস্মিক কোনো বিষয় নয়, কিন্তু সরকার তা মেনে নিতে নারাজ।

ঘটনাচক্রে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের দিন (১০ ডিসেম্বর) ছিল বিশ্ব মানবাধিকার দিবস। এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য, ‘সবার জন্য মর্যাদা, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচার’। প্রাসঙ্গিকভাবে মানবাধিকার সংস্থাগুলো জানায়, সভা-সমাবেশে যোগ দেওয়া অপরাধ নয়, সাংবিধানিক অধিকার। সরকারের তরফ থেকে দিবসটি উপলক্ষে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার দেশের জনগণের মানবাধিকার সুরক্ষায় বদ্ধপরিকর। দেশে যখন গায়েবি মামলা, অহেতুক গ্রেপ্তার-হয়রানি, সমাবেশ সংগঠনে বাধা ইত্যাদি ঘটনা মানুষের চোখের সামনে ঘটছে, তখন মানবাধিকার দিবস পালন ও গৎবাঁধা বাণী সাধারণ মানুষের মধ্যে হাস্যরসের উদ্রেক করে বৈকি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন