অর্থোপেডিক সার্জারিতে বিশ্বের আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতি হচ্ছে কোমর ও হাঁটু প্রতিস্থাপন। মানবদেহের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে যুক্তরাষ্ট্র উদ্ভাবন করেছে টাইটেনিয়াম ও সিরামিক অন পলি, সিরামিক অ্যান্ড সিরামিক ইমপ্লান্ট। এগুলো একধরনের টাইটেনিয়াম মেটাল বা সিরামিক দিয়ে তৈরি কৃত্রিম জয়েন্ট।
ঊরুর হাড়ের মাথা নিতম্বের অস্থিসন্ধিতে রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে নষ্ট হয়। তখনই মৃত বা নষ্ট হেড কেটে ফেলে কৃত্রিম ইমপ্লান্ট বসানো হয়। অপারেশনের পর দুই থেকে তিন দিন হাসপাতালে থাকতে হয় এবং অপারেশনের কয়েক দিন পর থেকে রোগীকে দাঁড় করানো, হাঁটাচলা বা ব্যায়াম করতে দেওয়া হয়। এই অপারেশনে রোগীর তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় না। চিকিৎসার পর তেমন কোনো সমস্যা ছাড়াই রোগী ২০ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে।
কোমরের সমস্যা যেকোনো বয়সেই হতে পারে। তবে বৃদ্ধ বয়সে এর প্রকোপ বেশি দেখা যায়। এ ছাড়া কোনো কারণে আঘাত পেলে, রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস, অ্যাংকাইলোজিং স্পন্ডাইলোসিস, হাড়ের পরিবর্তন, হাড় ক্ষয়, হাড়ের টিউমার, হাড়ে টিবি, অস্থিতে রক্ত সঞ্চালন বন্ধসহ অন্যান্য অসুখে যখন কোমরে প্রচণ্ড ব্যথা হয়, হাঁটাচলা বন্ধ হয়ে যায়, যখন অন্য কোনো চিকিৎসা দিয়েও রোগীকে সুস্থ করা সম্ভব হয় না, তখনই হিপ প্রতিস্থাপন সার্জারির প্রয়োজন দেখা দেয়। এ সমস্যা হলে রোগীদের হাঁটাচলায় অনেক কষ্ট এবং ঘুমাতে সমস্যা হয়। শুধু তীব্র ব্যথা ও যন্ত্রণাই নয়; বরং পুরো জীবন হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। বয়স্ক রোগীদের বেশি প্রতিস্থাপন সার্জারি করা হয়ে থাকে।