বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গন অনেকটাই উত্তপ্ত বলা চলে। সাধারণ মানুষ মনে করছেন, ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং ক্ষমতা পুনর্দখলের প্রতিযোগিতায় নেমেছে দুই দল।
তাদের এ ক্ষমতার লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের জীবন সংকটের মধ্যে পড়েছে। ভোগান্তির মাত্রা বেড়েছে। আমাদের দেশের শাসক গোষ্ঠীগুলো কোনোকালেই সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা আমলে নেয়নি; এ সময়েও এর ব্যতিক্রম কিছু দেখতে পাচ্ছি না। মানুষের জীবনকে উন্নততর করাই রাজনীতির কাজ। রাজনীতির বাইরে মানুষের জীবন পরিচালনা করা অকল্পনীয়। একটি খারাপ রাজনৈতিক পরিবেশকে প্রতিরোধ করতে হলে এর বিপরীতে একটি সুস্থ ধারার রাজনীতির প্রয়োজন।
রাজনীতির মোকাবিলা রাজনীতি দিয়েই করতে হবে। কিন্তু আশঙ্কার কথা হলো, বড় দুটি রাজনৈতিক দলের আচরণ ও কর্মকাণ্ডে জনজীবন আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ হয়ে পড়েছে রাজনীতিবিমুখ, আরও স্পষ্ট করে বললে-রাজনীতিবিরোধী। রাজনীতির নামে মানুষের চিন্তাশক্তিকে যে পথে ঠেলে দেওয়া হয়েছে, মানুষের মনে যে ধরনের বিতৃষ্ণার জন্ম দেওয়া হয়েছে, তাতে করে অদূর ভবিষ্যতে এ থেকে মুক্তিলাভের সম্ভাবনা কম বলেই বোধ হচ্ছে।
বিগত পাঁচ দশকে আমাদের দেশে শাসকের পরিবর্তন হয়েছে; কিন্তু তাতে করে দমননীতি, দুর্বৃত্তায়ন আর লুটপাটের চিত্রে কোনো রকমের পরিবর্তন লক্ষ করা যায়নি। তাই রাজনীতিবিমুখ হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষকে দোষারোপ করার কোনো সুযোগ নেই।