পারকিনসন্স হলো একধরনের নিউরো-ডিজেনারেটিভ বা স্নায়বিক রোগ। মস্তিষ্কের ডোপামিন তৈরির কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হলে এ রোগ হয়। এর প্রাথমিক বৈশিষ্ট্য হলো স্নায়ুতে প্রিসাইনাপ্টিক প্রোটিন জমা হওয়া।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ রোগের কারণ নির্ণয় করা যায় না। প্রাইমারি পারকিনসোনিজমের তেমন কোনো অন্তর্নিহিত কারণ পাওয়া যায় না। সেকেন্ডারি পারকিনসোনিজমের পেছনে কিছু কারণ আছে। যেমন পোস্ট-এনকেফালাইটিক বা প্রদাহ, টক্সিন যেমন এমপিটিপি, ম্যাঙ্গানিজ, কার্বন মনোক্সাইড দূষণে এটি হতে পারে। রেসারপিন, আলফা মিথাইলডোপা ওষুধ কিংবা মস্তিষ্কের টিউমার বা আঘাতের কারণেও হতে পারে।
লক্ষণ
- প্রথমত, হাত ও পায়ে কাঁপুনি হয়। দ্বিতীয়ত, হাত ও পা স্বাভাবিকের তুলনায় শক্ত হয়ে যায়। তৃতীয়ত, চলাফেরার গতি ধীর হয়ে যায়।
- আরও কিছু উপসর্গ দেখা দিতে পারে। যেমন শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখতে না পারায় সামনের দিকে ঝুঁকে হাঁটতে দেখা যায়।
- কণ্ঠস্বর নিচু হতে পারে বা কমে যেতে পারে। এমনকি চোখের পাতার নড়াচড়াও কমতে পারে।
- শরীরের ভারসাম্য ধরে রাখতে সমস্যা হওয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তি বারবার পড়ে যেতে পারেন। বিশেষ করে
- হঠাৎ পেছনে ফিরতে সমস্যা হয়। ছোট ছোট পদক্ষেপে সামনে একটু ঝুঁকে হাঁটেন।
- হতাশা, উদ্বেগ, উদাসীনতা, মনোযোগহীনতা, ঘুম কমে যাওয়া—এ ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়।
কোষ্ঠকাঠিন্য ও প্রস্রাব আটকে যাওয়ার মতো সমস্যাও হয়ে থাকে।