গত কয়েক বছর দেশে রাজনীতির মাঠ শান্তই ছিল, জাতীয় নির্বাচনের এক বছর আগে এক কর্মসূচি ঘিরে উত্তাপ ছড়াচ্ছে সেই অঙ্গনে।
ঢাকায় বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের সেই সমাবেশ ঘিরে এতদিন পুলিশ, বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের কথার লড়াই চলে আসছিল, বুধবার বিকালে তা সহিংসতায় রূপ পেয়েছে।
নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সেই সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। তিনি বিএনপি সমর্থক ছিলেন বলে তার স্বজনের কাছ থেকে জানা গেছে।
সংঘর্ষের পর বিএনপির কার্যালয়ে ঢুকে তল্লাশি চালায় পুলিশ। প্রায় পাঁচ ঘণ্টার সেই অভিযানে সেই কার্যালয় থেকে তিনশর মতো নেতা-কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
আটক নেতাদের মধ্যে দলটির কেন্দ্রীয় নেতা আমানউল্লাহ আমান, রুহুল কবীর রিজভী, ফজলুল হক মিলন, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস রয়েছেন।
কার্যালয়ে ঢুকে পুলিশের এমন অভিযানকে ‘জঘন্য’ বলে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি দাবি করেছেন, পুলিশ অভিযানের পরিকল্পনা নিয়েই এসেছিল।
তবে পুলিশ সেই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলছে, বিএনপির কার্যালয় থেকে হাতবোমা ছুড়ে মারায় পুলিশ বাধ্য হয়ে অভিযান চালায়।