বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকেরই ডিমেনশিয়া বা ভুলে যাওয়া রোগ দেখা দেয়। ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হলে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ, এমনকী রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার মতো জটিল সমস্যাও দেখা যায়। শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন না পৌঁছলে মস্তিষ্কের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ব্যাহত হয়। এতে নষ্ট হয় স্মৃতিশক্তি। তাই ভুলে যাওয়ার উপসর্গ দেখা দিলেই সতর্ক হওয়া উচিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, কম বয়স থেকেই যদি জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন আনা যায় তাহলে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি ৪০ শতাংশ পর্যন্ত কমে।
ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি এড়াতে যা করণীয়-
১. প্রতি সপ্তাহে খাদ্যতালিকায় তেলযুক্ত মাছ রাখুন। সামুদ্রিক মাছ -যেমন, স্যামন, সার্ডিন, ম্যাকরেলে পর্যাপ্ত পরিমাণে ওমেগা থ্রি পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে যা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। এ কারণে খাদ্যতালিকায় রেড মিটের পরিবর্তে এ ধরনের মাছ রাখুন।
২. খাদ্যতালিকায় সবুজ শাকসবজি, ব্লুবেরি, বিভিন্ন রকমের বাদাম রাখুন । এসব খাবারে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, খনিজ, পলিফেনল, ফ্ল্যাভোনয়েড থাকে। এসব উপাদান সার্বিকভাবেই সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে। ফলে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি কমে।
৩. অতিরিক্ত পরিমাণে তৈলাক্ত, মসলাদার, প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে হাইপারটেনশন, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, ওবেসিটির সমস্যা বাড়ে। যা ধীরে ধীরে ডিমেনশিয়ার মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বাড়িয়ে দেয়।
৪. দিনে ৩৫ থেকে ৪০ মিনিট শরীরচর্চা করুন। নিয়মিত শারীরিক কসরত করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছায় মস্তিষ্কে। সাইকেল চালানো, সাঁতার কাটা, নাচ করা, দৌড়ানো, হাঁটা শরীরের জন্য খুব উপকারী।