কয়েক মাস ধরে দেশে চলছে ডলার সংকট। এ সংকট নিরসনে প্রবাসী আয় বৃদ্ধিতে জোর দিয়েছে সরকার। এ জন্য প্রণোদনার পাশাপাশি প্রবাসীদের দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন সুবিধা, যার প্রভাব পড়েছে প্রবাসী আয়ের প্রবাহে। নভেম্বরে বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা ১৫৯ কোটি ৪৭ লাখ ডলার বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন। এটি আগের মাসের চেয়ে ৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ বেশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, নভেম্বরে আসা প্রবাসী আয়ের পরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৭ হাজার ৬৩ কোটি ২৯ লাখ টাকা। অক্টোবরে প্রবাসীরা পাঠিয়েছিল ১৫২ কোটি ৫৪ লাখ ডলার বা ১৬ হাজার ৩২১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ এক মাসে প্রবাসী আয় বেড়েছে ৬ কোটি ৯৩ লাখ ডলার বা ৭৪১ কোটি ৫১ লাখ টাকা। আগের বছর একই সময় প্রবাসী আয় এসেছিল ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার বা ১৬ হাজার ৬২৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রবাসী আয়ের ওপর সরকার প্রণোদনা দিচ্ছে। আর প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়াতে বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) যৌথভাবে ব্যাংকগুলোকে রেমিট্যান্স কেনার জন্য দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। এতেও কোনো কাজ না হওয়ায় প্রবাসী আয়ের ওপর ব্যাংকগুলোর সব ধরনের খরচ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাশাপাশি বিদেশে বন্ধের দিনও রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ ছাড়া প্রবাসী আয়ের বিপরীতে ডলার ১০৭ টাকা নির্ধারণ ও হুন্ডির বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর অবস্থানের ফলে আয় বেড়েছে বলেও মনে করছেন তারা।