কোনো দম্পতি যদি কোনো ধরনের জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি ছাড়া পূর্ণ এক বছর একসঙ্গে বসবাসের পরও সন্তান ধারণে ব্যর্থ হন, তবে একে বন্ধ্যাত্ব (ইনফার্টিলিটি) সমস্যা বলা হয়ে থাকে।
বন্ধ্যাত্ব দুই ধরনের। প্রাইমারি, অর্থাৎ যাঁদের কখনো সন্তান হয়নি ও সেকেন্ডারি, অর্থাৎ যাঁদের আগে গর্ভধারণ হয়েছে, কিন্তু পরে আর হচ্ছে না।
সমীক্ষা অনুযায়ী, ৮০ শতাংশ দম্পতি সাধারণত চেষ্টার প্রথম বছরে গর্ভধারণে সমর্থ হন। ১০ শতাংশের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বছরে গর্ভধারণ হয়। বাকি যে ১০ শতাংশ থাকে, তাঁদের মূলত চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। অতএব বিয়ের পর সন্তান ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এক থেকে দুই বছর নিজেরা চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে চিকিৎসকের সহায়তা নেওয়া উচিত।
বন্ধ্যাত্বের ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে নারী, ৪০ শতাংশ ক্ষেত্রে পুরুষ, বাকি ২০ শতাংশ ক্ষেত্রে স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের কোনো সমস্যা থাকে।