করোনাজনিত অচলাবস্থা থেকে উত্তরণ শুরু করতে না করতেই রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনে ধস নামার ফলে গোটা বিশ্বের অর্থনীতি যে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে তা এখন সবারই জানা। বৈশ্বিক এই সংকটের দ্রুত বাঁক বদলের কারণে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য একটি সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাওয়াটিই এখন বড় ভাবনার বিষয় হিসেবে দেখা দিয়েছে।
সাধারণত বিশ্ব ব্যাংক, আইএমএফ-এর মতো আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রক্ষেপণ আর পূর্বানুমানগুলো সামনে রেখে সামষ্টিক অর্থনৈতিক নীতি-কৌশল তৈরি করা হয়। কিন্তু তাদের প্রক্ষেপণগুলোয়ও ঘন ঘন পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে।
আইমএফ-এর ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক-এর অক্টোবর ২০২২-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে বৈশ্বিক অর্থনীতি আগে যতটা আশঙ্কা করা হয়েছিল তার চেয়ে বেশি মাত্রায় স্থবির হয়ে পড়ছে। তারা বলছে ২০২২ বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হবে মাত্র ৩.২ শতাংশ। আগের বছর এই হার ছিল ৬ শতাংশ। আর সামনের বছর এবারের চেয়ে আরও কমে হবে ২.৭ শতাংশ।
এক দশকের বেশি সময় ধরে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধিষ্ণু অর্থনীতিগুলোর তালিকায় থাকা বাংলাদেশেও এই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থবিরতার প্রভাব পড়বে—এটাই স্বাভাবিক। যদিও অপরাপর দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ এই সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে তুলনামূলক ভালো অবস্থানে রয়েছে, তবুও আগের বছরের তুলনায় এই বছর প্রবৃদ্ধির হার কমে আসবে।
আইএমএফ-এর আউটলুক বলছে ২০২২ বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৬ শতাংশ (আগের বছর ছিল ৭.২ শতাংশ)। বিশ্বব্যাংকের আগে ২০২২-এ বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৬.৭ শতাংশ হবে প্রক্ষেপণ করলেও এখন বলছে ৬.১ শতাংশ হবে। এডিবি প্রথমে এই বছরের প্রবৃদ্ধি ৭.১ শতাংশ হবে বলে প্রক্ষেপণ করে, পরে তা কমিয়ে ৬.৬ শতাংশ বলছে।