যমুনা ব্যাংকের ভল্টে মিলেছে জাল নোট। এ ছাড়া ছেঁড়া-ফাটা, অন্য নোটের অংশ জোড়া, অন্য শাখা থেকে ফেরত দেওয়ার সিলযুক্ত ও বহু খণ্ডে খণ্ডিত প্রচলনের অযোগ্য নোটও পাওয়া গেছে। সম্প্রতি যমুনা ব্যাংকের বগুড়ার শেরপুর এসএমই শাখায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে এমন গুরুতর অনিয়ম পেয়েছেন। ৫০০ টাকার জাল নোট পাওয়া গেছে সাতটি আর প্রচলনের অযোগ্য নোট ছিল ৪৫৫টি। এক শাখায় এত সংখ্যক জাল ও বাতিল নোট পাওয়ার ঘটনা সচরাচর ঘটে না। এরই মধ্যে ঘটনার সঙ্গে দায়ী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
ঢাকা-বগুড়া হাইওয়ের পাশে জব্বার টাওয়ারে যমুনা ব্যাংকের শেরপুর শাখা। মূলত এসএমই ঋণ-সংক্রান্ত পরিদর্শনের জন্য এ শাখায় যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়া অফিসের পরিদর্শক দল। গত ৭ সেপ্টেম্বর তিন সদস্যের পরিদর্শক দল ব্যাংকিং শুরুর আগেই হাজির হয়ে ভল্টের হিসাব মেলাতে গিয়ে জাল ও বাতিল নোট পায়। অনিয়মের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গত ১৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে চিঠি পাঠায় বগুড়া কার্যালয়। এর পর প্রধান কার্যালয় থেকে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মির্জা ইলিয়াস উদ্দিন আহমেদকে সম্প্রতি চিঠি দেওয়া হয়েছে।
ব্যবহার অযোগ্য নোটের মধ্যে ৩৬৯টি ৫০০ টাকা এবং ৮৬টি ১০০ টাকা মূল্যমানের। সব মিলিয়ে এসব নোটের মোট মূল্যমান ১ লাখ ৯৩ হাজার ১০০ টাকা। অন্য শাখার 'পেমেন্ট রিফিউজড' বা প্রচলনের অযোগ্য সিলযুক্ত ২২টি নোট পাওয়া গেছে। আলাদা একটি নোটের অংশ কেটে জোড়া লাগানো বা বিল্টআপ নোট ছিল ২১৫টি। নোটের দুই পাশে নম্বরের মিল নেই এমন নোট ছিল ২০টি। আর বহু খণ্ডে খণ্ডিত নোট ছিল ১৯১টি।