বর্তমান যুগে সবাই নানা কাজের চাপে ব্যস্ত থাকে। ব্যস্ত থাকার কারণে মানুষ নিজেকে সময় দেওয়া কিংবা তার আশপাশে থাকা মানুষকেও সময় দেওয়ার কথা ভুলে যায়। এতে মানুষের জীবনে দেখা দেয় একাকিত্ব।
কোন কোন ক্ষেত্রে এই একাকিত্বতা এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে, আশেপাশের সবকিছু থাকা সত্ত্বেও কিছু করতে, শুনতে, কিছু বলতে ভালো লাগে না। নিস্তব্ধতাময় জীবন যেন তখন মানুষের জীবনে নিত্য সঙ্গী হয়ে ওঠে। আর ঠিক এই সময়তেই মানুষের বেঁচে থাকার ইচ্ছেটা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। কারও কারও মধ্যে আত্মহত্যার চিন্তাও আসে। কিন্তু, যদি নিজের উদ্যম তাহলে সেই মানুষ নিজেই পারবে তার একাকিত্বতা দূর করতে। একাকিত্ব কাটাতে যা করবেন-
১. প্রথমেই এটা বলে রাখা ভালো, একাকিত্ব যদি আত্মহননের পথে নিয়ে যায়, তাহলে দ্রুত থেরাপিস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। মনোবিদের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে দেখবেন আবারও বেঁচে থাকার আননদ ফিরে পাবেন।
২. আপনিই হয়ে ওঠুন আপনার সবচেয়ে প্রিয় সঙ্গী। নিজেকে সময় দিন। একা একা বেড়াতে যান। হতে পারে কোনো রেস্টুরেন্টে বসে কিছু খেলেন বা কোনো পছন্দের জিনিস নিজেকে উপহার দিলেন। সর্বপোরি নিজের সঙ্গে সময় কাটান। দেখবেন, অনেক ধোঁয়াশা পরিষ্কার হয়ে গেছে। হালকা লাগছে নিজেকে।
৩. মন ভালো রাখেতে প্রকৃতির মতো বড় ওষুধ আর নেই। তাই প্রকৃতির কাছে যান। সমুদ্র, পাহাড় বা কাছাকাছি কোনো পার্কে ঘুরে আসতে পারেন। এটি আপনার একাকিত্ব দূর করতে কাজ করবে।
৪.প্রকৃতি যেমন মন ভালো করে, তেমনি গানও মানুষকে শান্তি দেয়, মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। তাই পছন্দের গান শুনুন বা শিথিল করে এমন সঙ্গীত শুনতে পারেন।
৫. পারলে ছোটবেলার বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করুন। সেই সব বন্ধুদের কাছে যান, যারা আসলেই আপনার জন্য সহযোগী। প্রয়োজনে তাদের সাহায্য চান আপনাকে এই যন্ত্রণা থেকে বের করে আনতে।