গত ৭ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোতে ‘এসআইবিএলের খেলাপি ঋণ আসলে কত’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বলা হয়, ব্যাংকটির হিসাবে খেলাপি ঋণের হার ৫ শতাংশ হলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের এক পরিদর্শন প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যাংকটির প্রকৃত খেলাপি ঋণের পরিমাণ ২৩ শতাংশের বেশি। এতে আমানতকারীদের জমানো অর্থ ঝুঁকিতে পড়েছে। সম্প্রতি ইংরেজি একটি বাণিজ্যবিষয়ক দৈনিকে ‘রিজার্ভের অর্থ কোথায় বিনিয়োগ হচ্ছে’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এই দুই প্রতিবেদনের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কমপক্ষে ১০ কর্মকর্তাকে নোটিশ দেন একজন ডেপুটি গভর্নর। এর বাইরে অন্যান্য কয়েকটি সংবাদের সূত্র ধরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আরও অনেকের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। আর কর্মকর্তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়, অনলাইন বা কোনো প্রকাশনায় প্রকাশিত ছাড়া ব্যাংক খাতের কোনো তথ্য যাতে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে না যায়। এর ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি ব্যাংকের পরিদর্শন কার্যক্রমে যুক্ত কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক সভায় জানিয়ে দেওয়া হয়, ব্যাংকের কোনো তথ্য ফাঁস হলে সাত বছরের জেল হবে। তখন সাংবাদিকদের কেউ বাঁচাতে আসবে না। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার, পরিদর্শন তদারকের দায়িত্বে থাকা ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান ও এ কে এম সাজেদুর রহমান।