পরিবারের পাশাপাশি পারিপার্শ্বিক পরিবেশের ওপর শিশুর বিকাশ অনেকাংশে নির্ভর করে। শিশুর মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব, সুন্দর মানসিকতা ও বিভিন্ন মানবিক গুণাবলির বিকাশ ঘটাতে সঠিক প্যারেন্টিং খুব জরুরি। এ ব্যাপারে বাবা-মাকে সচেতন হতে হবে।
শিশুকে ইতিবাচক আচরণ শেখাতে যা করবেন-
১. শিশুরা অনুকরণপ্রিয়। সবার আগে নিজেকে ইতিবাচক আচরণে অভ্যস্ত করুন। কারণ শিশুরা বাবা-মাকে দেখেই বেশিরভাগ গুণাবলি অর্জন করে। অন্যের সঙ্গে আপিন কীভাবে কথা বলেন, বিনয় কিংবা হাসিখুশি থাকা শিশুর উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
২. শিশুর সামনে কারও সম্পর্কে নেতিবাচক কথা বলবেন না। তাহলে তার মধ্যেও নেতিবাচক মনোভাব গড়ে উঠবে। যখন তার সামনে অন্য কারোর সম্পর্কে কথা বলবেন, তখন সবসময় ইতিবাচক কথা বলুন।
৩. শিশুকে অন্য শিশুর সঙ্গে মেশার সুযোগ করে দিন। মাঝেমধ্যে তাদেরকে বাইরে ঘুরতে নিয়ে যান। অন্য পরিবেশের সঙ্গে তাকে মানিয়ে নেওয়ার শিক্ষা দিন।
৪. শিশুর ভালো কাজের জন্য প্রশংসা করুন। ।
৫. কথায় কথায় অভিযোগ করার অভ্যাস ভালো নয় এটা তাদেরকে বোঝান।
৬. শিশু কী বলতে চায় তা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। এতে তারা নিজেদের গুরুত্বপূর্ণ মনে করবে।
৭. উদারতা, সহমর্মিতার মতো বিষয়গুলো নিয়ে তাদের সঙ্গে আলাপ করুন।
৮. শিশুকে অন্যকে শ্রদ্ধা করতে শেখান।
৯. অতিরিক্ত শাসন বা মারধর করা মোটেও শিশুর মানসিক গঠনের জন্য ভালো নয়। এ কারণে তাদেরকে অহেতুক বকাঝকা বা মারধর না করে বুঝিয়ে বলুন।
১০. অন্যের সম্পর্কে শিশুর সামনে দুর্নাম করবেন না।