আগামী বছর দেশে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে একটি পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে সরকার। এই পরিকল্পনার মূল লক্ষ্য লোডশেডিং পরিহার এবং সার ও শিল্প খাতে গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করা।
এ লক্ষ্য পূরণে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লা ও ফার্নেস তেলের সর্বোচ্চ ব্যবহার করা হবে। আর গ্যাসের সর্বোচ্চ ব্যবহার হবে সার ও শিল্প, সিএনজি ও আবাসিক খাতে। অর্থাৎ বিদ্যুৎ উৎপাদনে তেল ও কয়লা-নির্ভরতা বাড়বে। অবশ্য এই দুটি জ্বালানি পণ্যের উৎসও বিশ্ববাজার।
জানতে চাইলে সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানিবিষয়ক গবেষণা সংস্থা পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী এগোচ্ছি। কোন খাত থেকে কত বিদ্যুৎ আসবে, সেটা আগেই নির্ধারিত ছিল।’
চলতি মাসে পরিকল্পনাটি প্রণয়ন থেকে চূড়ান্ত করা পর্যন্ত সরকারের উচ্চপর্যায়ে ৬টি সভা হয়েছে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়। সংশ্লিষ্ট প্রতিটি স্তরে পরিকল্পনাটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখে বাস্তবায়নযোগ্য বলে অভিমত দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ উৎপাদন
পরিকল্পনায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ধরা হয়েছে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের দুটি ইউনিট থেকে আসবে প্রায় ১ হাজার ৩০০ মেগাওয়াট। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের একটি ইউনিট থেকে আসবে ৬০০ মেগাওয়াট। বড়পুকুরিয়া থেকে পাওয়া যাবে প্রায় ২৫০ মেগাওয়াট। আর ভারতের আদানির কেন্দ্র থেকে ধরা হয়েছে অন্তত ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট।