'গ্রীষ্মে পা ঘেমে যায়, তাই দুর্গন্ধ বেশি হবে'— সাধারণত এমন ধারণাই করা হয়। তবে, শীতেও পায়ে দুর্গন্ধ হয়।
পায়ের দুর্গন্ধের জন্য মূলত 'ব্যাকটেরিয়া' দায়ী। কানাডিয়ান জার্নাল অব মাইক্রোবায়োলজির ২০০৬ সালে এক গবেষণায় দেখা যায়, ত্বকের স্টেফাইলোকক্কাস ঘামের সঙ্গে মিশে আইসোভালিক এসিড তৈরি করে, যা দুর্গন্ধের জন্য দায়ী। এতে আরও দেখা যায়, 'ব্যাসিলাস সাবটিলিস' প্রজাতির ব্যাকটেরিয়া, যার অবস্থান আমাদের ত্বকেই; সেটি পোশাকের উপাদানের সঙ্গে বিক্রিয়া করে দুর্গন্ধ তৈরি করে। যে মোজাগুলোর ভেতর দিয়ে বাতাস চলাচল করতে পারে না, সেগুলোই মূলত পায়ের দুর্গন্ধের জন্য দায়ী।
আটলান্টার পা ও নখ বিশেষজ্ঞ রনড্রিক উইলিয়ামসন বলেন, 'অনেকেই পায়ে দুর্গন্ধজনিত সমস্যা নিয়ে আমাদের কাছে আসেন। তাদের জন্য পরামর্শ থাকে পলিস্টার বা নাইলনের মোজার বদলে সুতির মোজা ব্যবহার করার।'
পায়ের দুর্গন্ধ রোধে করণীয়
পায়ের দুর্গন্ধ এড়াতে বেশকিছু উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন অধ্যাপক ডা. আফসানা নাহিদ। সেগুলো হলো—
* মোজায় অ্যান্টি–ব্যাকটেরিয়াল পাউডার লাগিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
* পায়ে ড্রাই লোশন ব্যবহার করা যেতে পারে।
* বাসায় ফিরে পা থেকে জুতা খুলে পায়ে পর্যাপ্ত বাতাস লাগাতে হবে। জুতাগুলোও এমন জায়গায় রাখতে হবে, যেন জুতার ভেতরে পর্যাপ্ত বাতাস প্রবেশ করতে পারে।
* নাইলনের মোজার পরিবর্তে সুতির মোজা ব্যবহার করা এবং সবসময় পরিষ্কার মোজা ব্যবহার করা।
* ত্বকের মরা কোষগুলো অপসারণ করা আবশ্যক। এজন্য বেকিং সোডা ও ভিনেগার-যুক্ত কুসুম গরম পানিতে ১০ থেকে ১৫ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখলে পায়ের পাতার মরা কোষগুলো নরম হয়ে আসবে। তারপর স্ক্র্যাবার দিয়ে ঘষে পা পরিষ্কার করে নিতে হবে।