আগে মানুষ ব্যক্তিগত সাজসজ্জায় যতটা মনোযোগী ছিল, গৃহসজ্জায় তার সিকিভাগও ছিল না। ভাবখানা এমন, গৃহসজ্জা নিয়ে অত ভাবার কী আছে, ও একটা হলেই হলো। সময় বদলেছে, কমবেশি সবাই এখন গৃহসজ্জার দিকে মনোযোগী হচ্ছে। ব্যক্তিগত রুচির সঙ্গে সাধ্যের সমন্বয় করে সাজিয়ে–গুছিয়ে নিচ্ছে আপন গৃহকোণ।
আর তাই দেখা যায়, একই অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের একই আকারের দুটো ফ্ল্যাট শুধু সাজসজ্জার গুণে ভিন্ন ভিন্ন চেহারা নিয়েছে। কারণ আর কিছুই নয়, গৃহকর্তার নিজস্ব রুচি। কেউ অন্দর নকশা করছে আধুনিক কেতায়, কারও নকশায় প্রাধান্য পাচ্ছে ঐতিহ্য, কারও আবার পছন্দ দুইয়ের মিশেল।
অন্দরসজ্জায় এখন কী ধারা
বাংলাদেশে গৃহসাজে ট্রেন্ডের কথা যদি বলি, তাহলে বলতে হয়—আধুনিক, ভিক্টোরীয়, সমকালীন ও ঐতিহ্যবাহী—এই চার স্টাইলই মূলত অনুসরণ করা হচ্ছে। আধুনিক আর ঐতিহ্যের মিশেলও দেখা যাচ্ছে। তবে ঐতিহ্যবাহী ও সমসাময়িক ধরনটাই চলছে বেশি; কারণ, উপকরণের সহজলভ্যতা।
আধুনিক ধারা
এই ধারায় শুধু অন্দরের সাজসজ্জা নয়, পুরো ফ্ল্যাটের অবয়বকেই মনের মতো নকশা করে নেওয়া হচ্ছে। আসবাব, ফার্নিশিং, ঘর সাজানোর নানা পিস, বাগান, সাজসজ্জাসামগ্রী—সব ক্ষেত্রেই বেছে নেওয়া হচ্ছে আধুনিক সব উপকরণ। কাঠ, বোর্ড, ধাতু, বিভিন্ন ধরনের টাইলস, নকশা আঁকা কাচ, ভারী র অথবা সিল্কি কাপড়, বিভিন্ন ধরনের লাইট ফিক্সার, চিত্রকর্ম, আলোকচিত্র, পোর্ট্রেট ইত্যাদির সমন্বয়ে করা হয় অন্দরসজ্জার ডিজাইন ও ডেকোরেশন। দেয়ালগুলো বিভিন্ন রঙে রাঙানো হয়, যেখানে নানা টেক্সচার, বিভিন্ন রাস্টিক স্টোনের ব্যবহার হয়ে থাকে। সিলিং, দেয়াল ট্রিটমেন্ট, মেঝে ট্রিটমেন্ট, আসবাব, আলোক সরবরাহ—সবকিছুকেই কম্পোজিশনের আওতায় এনে দাঁড় করানো হয় নকশা। দেয়ালের সঙ্গে আসবাব ও ফার্নিশিংয়ের রঙের সমন্বয় করে পুরো ফ্ল্যাটের ডিজাইন করা হয়।