আমানত-সঞ্চয়ে ঝুঁকির ভয়, নাকি ব্যাংকের ওপর আস্থার সংকট

প্রথম আলো ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব প্রকাশিত: ২১ নভেম্বর ২০২২, ১০:৪৭

‘ব্যাংকসমূহে জনগণের আমানত সম্পূর্ণ নিরাপদ রয়েছে’, ‘ব্যাংকে টাকার সংকট হলে দেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক’—সংবাদ সম্মেলন করে এমন ঘোষণাসহ জরুরি বিজ্ঞপ্তি এসেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক (বিবি) বলেছে, বর্তমানে ব্যাংকব্যবস্থায় অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৬ কোটি টাকা।


আমরা এখানে দুটি প্রশ্ন রাখতে চাই। বাংলাদেশ ব্যাংক কি চাইলেই বাণিজ্যিক ব্যাংকে নগদ টাকা সরবরাহ করতে পারে? আমানতকারীরা যেসব বাণিজ্যিক ব্যাংকে অর্থ ও সঞ্চয় জমা রেখেছে, তাদের সেবার গ্যারান্টি বাংলাদেশ ব্যাংক আগ বাড়িয়ে কেন দিচ্ছে? কেন বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো নিজেরা আমানতের নিরাপত্তার ব্যাপারে গ্রাহক যোগাযোগ করেছে না!


সরকারপ্রধানের আগাম দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা, ২০২৩ সালকে কঠিন বছর ঘোষণা করা, বিএনপির সফল বিভাগীয় গণসমাবেশ, দেশের চলমান বিদ্যুৎ-জ্বালানিসংকট, অসহনীয় মূল্যস্ফীতি, ডলার-সংকটসহ বৈশ্বিক মন্দার আভাস ইত্যাদির সম্মিলিত প্রভাবে ভবিষ্যতে দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার শঙ্কা আছে, এমন ভয়ে কেউ কেউ ব্যাংক থেকে অর্থ তুলে ফেলার ভাবনায় তাড়িত হয়ে থাকতে পারেন। এটা ব্যাংকের তারল্য বা নগদের সংকট নয়; বরং আস্থার সংকট।


এমতাবস্থায় নিয়ন্ত্রক বা রেগুলেটর হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের উচিত বাণিজ্যিক ব্যাংককে এই বলে সতর্ক করা যে তারা যাতে মাঝারিসহ বড় চেক অনার করার সময় গ্রাহক হয়রানি না করে। যেকোনো নগদায়নকে সহজ করে। কোনো ব্যাংক যাতে প্রবেশপথে বা অর্থ উত্তোলন বুথের সামনে লিখে না রাখে যে, এক লাখ টাকার বেশি উত্তোলনে এত কর্মদিবস আগে জানাতে হবে। ৫ লাখ টাকার বেশি নগদায়নে যাতে গড়িমসি করা না হয়, গ্রাহকদের না ঘোরায়। বড় চেক অনারে যে পজিটিভ পে-স্লিপের ব্যবস্থা আছে, সেটার হয়রানিমুক্ত বাস্তবায়ন হয়। মেয়াদি জমা, ফিক্সড ডিপোজিট কিংবা সঞ্চয়ী স্কিম ভাঙাতে কোনো ব্যাংক যাতে বাধা না দেয়। কোনো ব্যাংকের খারাপ আচরণ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব আকারে ছড়িয়ে গেলে আস্থার সংকট গভীর হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us