স্মার্টফোন ধীরগতির হয়ে পড়লে সেটি ব্যবহার করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে ব্যবহারকারীদের। পুরোনো ফোন ধীরগতির হয়ে পড়লে অনেকেই নতুন ফোন কেনার সিদ্ধান্ত নেন। তবে কিছু সমাধান প্রয়োগ করে সহজেই আমাদের ফোনকে আবার গতিশীল করতে পারি। সেই সমাধানগুলো নিয়ে আলোচনা করা হলো—
অপারেটিং সিস্টেম আপডেট করুন
স্মার্টফোন ধীরগতির হয়ে পড়ার প্রধান এবং অন্যতম কারণ অপারেটিং সিস্টেম যথাসময়ে আপডেট না করা। নির্দিষ্ট সময় পরপরই মোবাইল কোম্পানি তাঁদের গ্রাহকদের অপারেটিং সিস্টেমের আপডেট দিয়ে থাকে। এসব আপডেটে অপারেটিং সিস্টেমের বিভিন্ন ধরনের ত্রুটি এবং ‘ল্যাগ’ ঠিক করে ত্রুটিমুক্ত সংস্করণ গ্রাহকদের দেওয়া হয়। অপারেটিং সিস্টেম সময়মতো আপডেট না করলে স্মার্টফোন ধীরগতির হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অ্যাপস আপডেট করুন
অপারেটিং সিস্টেমের পাশাপাশি স্মার্টফোনের অ্যাপসগুলো আপডেট করা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনো অ্যাপের নতুন আপডেট এলে সেই অ্যাপ আপনাকে তা নোটিফিকেশনের মাধ্যমে জানাবে। সময়মতো অ্যাপগুলো আপডেট না করলে অ্যাপগুলো ঠিকভাবে কাজ করে না। এর ফলে ফোনের গতি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
ফোনের মেমোরি কিছু খালি রাখুন
স্মার্টফোনে অনেকেই প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ছবি, গান, ভিডিও ইত্যাদি রেখে থাকেন। যার ফলে স্মার্টফোনের মেমোরিতে জায়গা কমে যায় অনেকটুকু। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেকে মেমোরি ফাইল দিয়ে পূর্ণ করে রাখেন। ফোনটি তখন অ্যাপের অস্থায়ী ফাইল আর রাখতে পারে না। এ কারণে ফোনটি একদম ধীরগতির হয়ে পড়ে। এ জন্য আমাদের উচিত ক্ষেত্রবিশেষে ফোনের মেমোরি অন্তত ৫-১০ শতাংশ খালি রাখা। তবে ফোনের নির্ধারিত মেমোরি যথেষ্ট না হলে একটি অতিরিক্ত মেমোরি কার্ড ব্যবহার করা উচিত।
অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস ডিলিট কর ফেলুন
মাসে মাত্র একবার ব্যবহার করা হয়—এমন অ্যাপ অনেকেই ফোনে ইনস্টল করে রেখে দেন। এভাবে চার-পাঁচটি অ্যাপ ইনস্টল করে রাখলে ফোনের মেমোরি পূর্ণ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আপনার ফোনে এমন অপ্রয়োজনীয় অ্যাপস থাকলে তা মুছে ফেলুন। শুধু প্রয়োজনের সময় এসব অ্যাপস ইনস্টল করে নেবেন।