পর পর তিন মেয়ে হওয়ায় স্বামীর সংসারে ঠাঁই হলো না কামরুন নাহার কনা (৩০) নামে এক গৃহবধূর।
কামরুন নাহার কনা রাজশাহী মহানগরীর রাজপাড়া থানার বহরমপুর এলাকার কামাল হোসেনের বড় মেয়ে। বাবা পেশায় ট্রাকচালক।
জানা গেছে, বছর সাতেক আগে রাজপাড়া থানার কেশবপুর পুলিশ ২নং গেট এলাকার মুদি দোকানি চঞ্চলের সঙ্গে বিয়ে হয় কনার। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে দেওয়া হয় কিছু টাকা। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই স্বামী চঞ্চল ও তার পরিবারের লোকেরা নানাভাবে কনাকে নির্যাতন করতে থাকে। বাবার অভাবের সংসার হলেও সময় সময় স্বামী চঞ্চলকে দিতে হয়েছে টাকা।
কনার পরিবারের লোকদের অভিযোগ— বিয়ের পর থেকেই কনার ওপর নির্যাতন করে আসছে চঞ্চল। এ ধারাবাহিকতায় নির্যাতনের একটি বড় কারণ পর পর তিন কন্যাসন্তান হওয়া।
কনা বলেন, পর পর তিন কন্যাসন্তান হওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে ভুল বোঝে। বিভিন্নজন খোটা দিয়ে কথা বলেন। স্বামীকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও, সে মনে মনে আমার ওপর বিরক্তি প্রকাশ করতেন। কেন আমার ছেলে সন্তান হচ্ছে না— এটিই ছিল স্বামীর মূল অভিযোগ।