ব্যবসার প্রয়োজনে প্রায়ই রাজধানীতে আসতে হয় কিংবা চাকরি করছেন ঢাকায়, পরিবার থাকে মফস্সলে বা গ্রামে। একটু ভালো পরিবেশে থাকতে চান। হাতে জমানো টাকাও আছে ৪০ থেকে ৫০ লাখ। তাহলে আপনার জন্য ভালো সমাধান স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট। খাট, সোফা, খাবার টেবিল থেকে রান্নাঘর—সবই সাজানো–গোছানো থাকে। কেনার পর আপনি কেবল দরকারি জিনিসপত্র নিয়ে উঠে পড়বেন। ব্যস।
স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট সাধারণত ৫০০ থেকে ৬০০ বর্গফুটের হয়ে থাকে। তার মধ্যেই একটি শোবার ঘর, একসঙ্গে বসা ও খাবার ঘর, রান্নাঘর এবং ব্যালকনি। আর সব কটি কক্ষেই আসবাবসহ প্রয়োজনীয় সব জিনিস বসবাসের উপযোগী করে দেয় আবাসন প্রতিষ্ঠান। ফলে ক্রেতাকে এসব সামগ্রী কেনাকাটার ঝামেলাও আর পোহাতে হয় না। এ ছাড়া এসব অ্যাপার্টমেন্টে গ্যাস–বিদ্যুতের বিল আসে কম। রক্ষণাবেক্ষণও খরচসহনীয়।
সিঙ্গাপুর, যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরাত, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, চীন, এমনকি পাশের দেশ ভারতেও স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট জনপ্রিয়। তবে বাংলাদেশে এখনো অতটা জনপ্রিয় হয়ে ওঠেনি। গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্প হয়েছে একেবারেই হাতে গোনা। লেকসিটি কনকর্ডের একটি ভবনে ৫৯০ বর্গফুটের স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ করেছিল আবাসন খাতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান কনকর্ড রিয়েল এস্টেট কোম্পানি।
মাটি প্রোপার্টিজ নামে একটি আবাসন প্রতিষ্ঠান বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সি ব্লকে ১২ কাঠা জমির ওপর স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট নির্মাণ করেছে। সেখানে ২৫০ থেকে ৬০০ বর্গফুট পর্যন্ত ছয়টি আকারের ১৬৮টি স্টুডিও অ্যাপার্টমেন্ট আছে। প্রয়োজনীয় আসবাব ও ইলেকট্রনিক পণ্যে সাজানো–গোছানো প্রতিটি অ্যাপার্টমেন্ট। বাড়তি হিসেবে ভবনের বাসিন্দাদের জন্য সুইমিংপুল, মুভি থিয়েটার, ব্যায়ামাগার ইত্যাদি সুযোগ–সুবিধাও আছে।