আমাদের চারপাশে প্রতিদিন এত সব ঘটনা ঘটে, তার কটাই বা পাঠক ও দর্শকদের জানাতে পারি? অনেক কিছু লিখতে পারি না। প্রায়ই পাঠকেরা অভিযোগ করেন, অমুক স্থানে অমুক ঘটনা ঘটেছে, পত্রিকায় খবর নেই কেন? এর কোনো উত্তর নেই। চাপ কেবল পাঠক-দর্শকদের কাছ থেকে নয়। অন্য পক্ষ থেকেও আছে। ক্ষমতার কেন্দ্রে যাঁরা আছেন, তাঁদের অভিযোগ, আমরা সরকারের দোষত্রুটি নিয়ে বেশি বেশি লিখি। এই মাননীয়দের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, তারা দয়া করে ২০০৫-০৬ সালের পত্রিকার প্রতিবেদন ও বিশ্লেষণগুলো দেখে নিতে পারেন। এমনকি ২০১৩-১৪ সালেও যা লেখা যেত, এখন সেসব চিন্তাও করা যায় না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত বুধবার সংবাদপত্রের সম্পাদক ও জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বলেছেন, ‘আপনারা সাদাকে সাদা ও কালোকে কালো বলুন।’ যে সমাজে সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলা যায় না, সেই সমাজ গণতান্ত্রিক নয়। ওই মতবিনিময় সভায় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদও প্রায় একই সুরে সরকারের ভুলত্রুটি ধরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি অর্জনগুলো তুলে ধরার পরামর্শ দিয়েছেন সাংবাদিকদের। তাদের সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলার এই অভয়বাণীর মধ্যে একটা গূঢ় রহস্য আছে। তাহলে কি আমরা সাদাকে সাদা ও কালোকে কালো বলি না? মন্ত্রীদের কথায় মনে হবে, আমরা একতরফা সরকারের সমালোচনাই করি। সরকারের ভালো কাজের প্রশংসা করি না। বাস্তবতা বরং ভিন্ন। যতটা সাদাকে সাদা বলতে পারি, ততটা কালোকে কালো বলতে পারি না।