দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ শুরু হয় ২০২০ সালের মার্চে। লকডাউনে স্থবির হয়ে যায় গোটা দেশ। এ সময় অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য সচল রাখতে নানা ধরনের ছাড় দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রণোদনার প্যাকেজ ছাড়ে সরকার। ছোট বড় সব ব্যবসায় নেমে আসে ধস।
সেই সংকট কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর বিশ্বজুড়ে জ্বালানি ও খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যায় অস্বাভাবিকভাবে। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকারকে রিজার্ভের ওপর নির্ভর করতে হয়। রিজার্ভের অন্যতম উৎস হচ্ছে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকেই দেশে প্রবাসী আয় কমে যায়। পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী মার্কিন ডলারের অস্থিরতা শুরু হয়। করোনার সময় রেকর্ড প্রবাসী আয় দেশে আসে। তাতে ডলারের দাম ধরে রাখতে ২০২০-২১ অর্থবছরে বাজার থেকে প্রায় ৮০০ কোটি ডলার কিনে নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরপর ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্ত রিজার্ভ থেকে ৭৬২ কোটি ডলার বিক্রি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে এখন পর্যন্ত প্রায় ৫০০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।