মধ্য দোহা থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত আল রাইয়ানের সবচেয়ে প্রাচীন এবং আইকনিক স্টেডিয়ামগুলোর একটি হচ্ছে খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম। ১৯৭৬ সালে নির্মিত এই স্টেডিয়ামটি কাতার বিশ্বকাপের স্বত্ব পাওয়ার সময় একমাত্র ফুটবল ভেন্যু হিসেবে পরিচিত ছিল। যদিও তারপর এর অনেক কিছুই সংষ্কার করা হয়েছে। ২০১১ এশিয়ান কাপ ফাইনাল, লিভারপুল ও ফ্ল্যামেঙ্গোর মধ্যকার ২০১৯ ক্লাব ওয়ার্ল্ড কাপের ফাইনাল এই স্টেডিয়ামেই অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৭৬ সালে গালফ কাপের আয়োজক হয়েছিল কাতার। কিন্তু তখন দেশটিতে আন্তর্জাতিকমানের কোনো স্টেডিয়াম ছিল না। তেল নির্ভর দেশটি ওই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে নির্মাণ করে ২০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন খালিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম।
কাতারের ফুটবল ঐতিহ্যের ধারক হিসেবে রূপ নেয়া মাঠটি সময়ের সাথে বহুবার সংস্কার হয়েছে। এবার বিশ্বকাপ উপলক্ষে হলো চূড়ান্ত সংস্কার। ১৯৭৬ সালে নির্মিত এই স্টেডিয়ামটি বিশ্বকাপের জন্য নতুন করে ২০১৭ সালে সংস্কার করা হয়। ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ধারণক্ষমতা ৪০ হাজারে উন্নীত করা হয়। এই স্টেডিয়ামে এক সময় প্রীতি ম্যাচ খেলেছে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনাও। ফিফা ফ্রেন্ডলি ছাড়াও ২০১১ এশিয়ান কাপ, ২০১৯ সালে অ্যাথলেটিকসের আইএএএফ ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপও বসেছে। বর্তমানে স্টেডিয়ামটির ৭০ শতাংশ সুন্দর ছাদ দ্বারা ঢেকে দেয়া হয়েছে।