ফেইস ইয়োগার মাধ্যমে মুখ ঝুলে পড়া, বলিরেখা ও ‘ডাবল চিন’ প্রতিরোধ করা যায়।
সামাজিক মাধ্যমগুলোতে মুখের ফোলাভাব কমাতে অনেকরকম ভিডিও পাওয়া গেলেও সেসবের কার্যকারিতা ও গ্রহণযোগ্যতা যাচাই করে নেওয়া ভালো।
এক্ষেত্রে অনুসরণ করা যেতে পারে ‘কোকো ফেইস ইয়োগা’র প্রতিষ্ঠাতা জাপানি অভিনেত্রী ও ব্যায়াম প্রশিক্ষক কোকো হায়াশি’র দেওয়া বিভিন্ন পদ্ধতি। কারণ তাকে অনুসরণ করেন এরকম মানুষদের মধ্যে হলিউডের বহু সেলিব্রেটিও রয়েছেন।
চিক বা গালের স্কোয়াটস
“গালের পেশিগুলো বড় এবং এগুলোকে সচল রাখতে মুখের স্কোয়াটস সহায়তা করে”, বলেন হায়াশি।
স্কোয়াটস করতে প্রথমে ‘ওহ’ এবং পরে ‘আহ’ শব্দ করতে হবে। এরপর এমনভাবে হাসতে হবে যেন ওপরের কমপক্ষে আটটি দাঁত দেখা যায় এবং নিচের ঠোঁট এমনভাবে রাখতে হবে যেন নিচের পাটির দাঁত দেখা না যায়।
জিহ্বা তালুতে চেপে ধরতে হবে এবং গাল যতটা সম্ভব ওপরে তুলে ১০ সেকেন্ড এইভাবে থাকতে হবে।
দিনে তিনবার এই স্কোয়াটস করা উপকারী।
গলা টোনিং
‘ডাবল চিন’ কমাতে গলা ও ঘাড় দৃঢ় করতে হবে।
এটা করার জন্য প্রথমে কাঁধ পেছনের দিকে নিতে হবে। এরপরে চোখ বন্ধ করে ছাদের দিকে মুখ উচু করে জিহ্বা বের করে রাখতে হবে।
১০ সেকেন্ড এই ভঙ্গি ধরে রেখে ধীরে ধীরে মাথা নিচে নামাতে হবে। দিনে তিনবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
ঘাড়ে ব্যথা হলে এই পদ্ধতি অনুসরণ না করাই ভালো।
‘আই লিফ্ট’
“আমরা চোখের ওপরের পাতাকে যতটা নড়াচাড়া করি নিচের পাতাকে অতটা নাড়াই না। চোখকে বড় ও স্পষ্ট করে তুলতে নিচের অংশ বা পেশিগুলোকে সক্রিয় করে তুলতে হবে”, ব্যাখ্যা করেন হায়াশি।
চোখের ওপরের পাতাকে না নাড়িয়ে কেবল নিচের পাতা ওঠা নামা করানোর চেষ্টা করতে হবে। অনেকটা সরু বা তীক্ষ্ণ চোখে তাকানোর সময় যেমন করা হয় সেরকম ভাবে।
পাঁচ থেকে ১০ বার একই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে।
জিহ্বার ভঙ্গি
এটা সাধারণ ব্যায়ামের মতো নয়। এটা যে কোনো সময় এমনকি বিশ্রাম নেওয়ার সময়ও করা হয়।
হায়াশি বলেন, “যখন মুখের কোনো কাজ থাকে না তখন স্বাভাবিকভাবেই জিহ্বা তালুর দিকে উঠে বিশ্রাম নেয়। এটা পুরো মুখে কাজ করে। এটা গালের হাড় উত্তোলন করার পাশাপাশি ‘ডাবল চিন’ কমায় এবং চোয়ালের আঁকার সদৃঢ় করে।
চোয়ালের ব্যথা কমাতে, ভালো মতো শ্বাস নিতে শ্বাসনালী খুলে দেয়। যারা ঘুমের মধ্যে নাক ডাকেন তাদের জন্য এটা বেশ উপকারী।
সিমেট্রিক্যাল চিউইং
কোনো ব্যায়াম নয় বরং খাবার চিবানোর মাধ্যমেও মুখের গড়ন ঠিক রাখা যায়।
হায়াশি বলেন, “খাবার চিবানোর সময় মুখের দুই পাশে নিয়ে অদল বদল করতে হবে। সবসময় একদিকে খাবার চিবানো চেহারায় অসামঞ্জস্যভাব আনে।”