রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সংকট এবং ডলার সংকটের সরাসরি প্রভাব পড়েছে দেশের নির্মাণ খাতে। অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে নির্মাণসামগ্রীর দাম।
বিশেষ করে রডের দাম আকাশছোঁয়া। ডলারের তীব্র সংকটের কারণে অনেকে এলসি খুলতে পারছেন না। সিমেন্টের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রেও একই অবস্থা বিরাজ করছে।
পাশাপাশি লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ইট, বালু ও সিমেন্টের দাম। জীবনযাত্রার সার্বিক ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় শ্রমিকের মজুরিও এখন দ্বিগুণের কাছাকাছি। এসব কারণে নির্মাণ খরচ বেড়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ।
এ পরিস্থিতিতে সরকারি-বেসরকারি প্রকল্প ছাড়াও ব্যক্তিপর্যায়েও নির্মাণকাজ একরকম থমকে গেছে। লোকসানের ঝুঁকি থাকায় সরকারি অনেক প্রকল্পে কাজ বন্ধ রেখেছেন ঠিকাদাররা।
কাজ না করার ঘোষণা দেওয়ায় বাধ্য হয়ে সরকারের কোনো কোনো প্রকল্পে দ্বিতীয় দফা দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। জানা গেছে, বেশিরভাগ সরকারি প্রকল্পের কাজ আটকা পড়েছে ধীরগতির ফাঁদে। ঠিকাদাররা বসে আছেন রেট শিডিউল বাড়ানোর অপেক্ষায়।
ইতোমধ্যে বেশকিছু সরকারি সংস্থা রেট শিডিউল পুনর্নির্ধারণ করা সত্ত্বেও মূল্যবৃদ্ধির পাগলা ঘোড়ার সঙ্গে ঠিকাদাররা পেরে উঠছেন না বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।