বাংলাদেশের মতো নানা শ্রেণিতে বিভক্ত জনগোষ্ঠীর দেশগুলোতে ক্ষমতায় টিকে থাকা নির্ভর করে মূলত মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর। এই শ্রেণিই জনমত গঠনে ভূমিকা রাখে। অভ্যুত্থানের ক্ষেত্রেও অগ্রগামী ভূমিকা রাখে এই শ্রেণি। আর এ দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণি ভালো করে জানে, আওয়ামী লীগ সরকার কী কায়দায় নির্বাচন করে ক্ষমতায় রয়েছে। এই জনগোষ্ঠী তা মেনেও নিয়েছে।
এর অন্যতম প্রধান কারণ মধ্যবিত্ত জনসংখ্যার সিংহভাগ মানসিকভাবেও দুর্নীতিগ্রস্ত। যিনি সুযোগ পান, তিনি দুর্নীতির মাধ্যমে কামিয়ে নেন। আর সুযোগ না পাওয়া ব্যক্তিরা দুর্নীতির সুযোগ পাওয়া ব্যক্তিদের সমালোচনা করেন। পাশাপাশি নিজেরাও সুযোগের ধান্দায় থাকেন।
এদিকে সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, গতবারের 'কায়দার' নির্বাচনে যেখানে ৭০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছিল, সেখানে এবার খরচ করা হচ্ছে এর ১৪ গুণ। সংকটের মধ্যেই বিপুল পরিমাণ ডলার খরচ করে কেনা হচ্ছে ইভিএম। খোদ সরকারের পক্ষ থেকেই যখন বারবার অর্থনৈতিক সংকট বিষয়ে সতর্কবাণী উচ্চারণ করা হচ্ছে, সেই পরিস্থিতিতে নিতান্তই সংবিধান রক্ষার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিপুল পরিমাণ ডলার অপচয় করে ইভিএম কেনা হচ্ছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মধ্যবিত্তের পিঠ যখন দেয়ালের দিকে যাচ্ছে, তখন 'কায়দার' নির্বাচনের জন্য এই বিপুল অর্থের অপচয় দৃষ্টিকটু বৈকি।