ভ্রমণবিলাসী কর্মকর্তাদের থামানো যাবে?

সমকাল সাইফুর রহমান তপন প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২২, ১৩:০৯

পরিপত্র জারি করে সরকারি অর্থে সরকারি কর্মকর্তাদের যে কোনো ধরনের বিদেশ সফর 'পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত' বন্ধ করে দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। (সমকাল, ১০ নভেম্বর, ২০২২)।


করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাবে দুর্বলরা তো বটেই, শক্তিশালী অর্থনীতিগুলোও তাল সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়। জনজীবনে আকাশচুম্বী দ্রব্য ও সেবামূল্যের অভিঘাত চলছে। ডলারসহ সব বৈদেশিক মুদ্রার তুলনায় কমছে টাকার মান। একই সময়ে রপ্তানি ও প্রবাসী আয়- বৈদেশিক মুদ্রার রাষ্ট্রীয় সঞ্চয় বা রিজার্ভের দুই প্রধান উৎসে চলছে ভাটার টান। ফলে আমদানি ব্যয় মেটাতে গিয়ে ডলারের সংকট হচ্ছে।


এ পরিস্থিতিতে মূলত রিজার্ভের পতন ঠেকাতেই চলতি বছর ১২ মে অর্থ মন্ত্রণালয় সরকারি অর্থে যে কোনো ধরনের বিদেশ ভ্রমণ স্থগিত করে। কিন্তু পরিপত্রে নানা ফাঁকফোকর বের করে দলে দলে সরকারি কর্মকর্তা বিদেশ ভ্রমণ অব্যাহত রাখেন। ওই পরিস্থিতিতে অনেকটা 'ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি' অবস্থায় অর্থ মন্ত্রণালয় গত ১৯ সেপ্টেম্বর সরকারি কর্মচারীদের 'দক্ষতা বৃদ্ধির কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে' শিক্ষা ও সেমিনার-সিম্পোজিয়াম-সংশ্নিষ্ট বিদেশ সফরে ছাড় দিয়ে আরেকটি পরিপত্র জারি করে। এর ফলে ১২ মের পর যে বিদেশ সফর হতো রাখঢাক করে; ১৯ সেপ্টেম্বরের পর তা হতে লাগল একেবারে খোলামেলা ও অবাধে।


পরিপত্রে বলা হয়েছিল, শুধু শিক্ষাসংশ্নিষ্ট সফর চলবে। কিন্তু দেখা গেল নতুন প্রকল্প বানিয়ে একের পর এক মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তারা দল বেঁধে দেশের বাইরে যাচ্ছেন। এসব সফরে শুধু সরকারি আদেশ (জিও) নয়, পর্যাপ্ত পরিমাণ ডলার পাওয়াও সফরকারীদের জন্য কঠিন হচ্ছে না। সম্ভবত এ কারণেই আবার পরিপত্র জারি করে সরকারি অর্থে এমনকি বিদেশে পড়তে যাওয়ার ওপরেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। পরিস্কার বলা হয়েছে, কোনো সরকারি কর্মকর্তা চাইলে এ সময়ে বিদেশে পড়তে যেতে পারবেন, যদি খরচটা আসে শুধু কোনো বিদেশি উৎস থেকে। প্রশ্ন উঠেছে, সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরের ওপর সরকার এতটা খড়্গহস্ত কেন?


উত্তর পেতে আমাদের মনে রাখতে হবে, সরকারি কর্মকর্তাদের বাছবিচারহীন বিদেশ সফরের কারণে ডলারের রীতিমতো বহির্মুখী স্রোতধারা চলছিল। এই ধারা এমন সময়ে চলছিল যখন সরকার নেহাত প্রয়োজনীয় ছাড়া সব ধরনের পণ্য আমদানি নিরুৎসাহিত করে। এমনকি ডলার সংগ্রহে ব্যর্থ হয়ে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংক তাদের সব করপোরেট শাখাকে শিল্পের যন্ত্রপাতি, কাঁচামাল ও জরুরি খাদ্যপণ্য ছাড়া অন্য কিছু আমদানির জন্য ঋণপত্র না খোলার অনানুষ্ঠানিক নির্দেশ দেয়।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us