সাম্প্রতিক শেয়ার কারসাজির ঘটনা নিয়ে কথা উঠলে বহুল আলোচিত সমবায় অধিদপ্তরের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আবুল খায়ের হিরোর নাম আসে সবার আগে। অনিয়ম-দুর্নীতির ঘেরাটোপে ২০২০ সালের জুনে যে শেয়ারবাজার ধুঁকছিল, তা পরের মাসেই হিরোর কারসাজিতে কিছুটা চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল। তখন হিরোর নতুন সঙ্গী হলেন তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের তদন্তে এঁদের দু'জনের নাম বারবার আসছে। ব্রোকারেজসহ একাধিক ব্যবসার অংশীদার তাঁরা দু'জন। পেশায় দীর্ঘদিন দুই জগতের বাসিন্দা এ দু'জনকে এক গাঁটে বাঁধলেন কে বা কারা?
দুই বছর ধরে এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজেছে সমকাল। তাতে জানা গেছে, এ দু'জনের সংযোগ ঘটানোর নেপথ্যে আছেন জাভেদ আজিজ মতিন, যাঁর নাম আন্তর্জাতিক প্রতারণার সঙ্গে জড়িয়ে। দীর্ঘ ৪০ বছর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী এই ব্যক্তি বাংলাদেশে ফিরেছেন ঠিক দু'বছর আগে। দেশের টানে নয়, পালিয়ে এসেছেন।
স্বপ্নের দেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে জাভেদের পালিয়ে আসার কারণ, সেখানে শেয়ারবাজারে নিজ কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কারসাজি করে ধরা পড়া। হাজার কোটি টাকার জরিমানার দণ্ড ঝুলছে তাঁর ঘাড়ে। আরও একটি কারণ আছে। এক অস্ট্রেলীয় নাগরিকের মালিকানাধীন হংকংয়ের একটি কোম্পানি থেকে প্রতারণা করে ১ কোটি ৩৩ লাখ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩৬ কোটি টাকা হাতিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে নিয়েছিলেন জাভেদ ২০২০ সালে। সে টাকাই ওই বছর যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাচার হয়ে আসে বাংলাদেশে এবং শেয়ার কারসাজিতে লগ্নি হয়।