বিছানার চাদরটা প্রতি সপ্তাহে ধুয়ে ফেলা হলেও, এর নিচেই থাকা ম্যাট্রেসটা মাসের পর মাস আধোয়া রয়ে যায়।
এমনকি মাসে একবার হলেও যদি পুরো বাসাটা খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয়, তবে সেখানেও ম্যাট্রেস পরিষ্কার করার কোনো পরিকল্পনা থাকে না।
বছরের পর বছর ম্যাট্রেস একভাবে পড়ে থাকে, এমনও ম্যাট্রেস আছে যা তার জীবনকালে একবারও পরিষ্কার করা হয়নি।
যুক্তরাষ্ট্রের ঘরবাড়ি পরিষ্কার করার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ‘টু মেইডস অ্যান্ড আ মপ’য়ের কর্মী ক্যাথি কোহুন রিয়েলসিম্পল ডটকময়ে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলেন, “মানুষ ম্যাট্রেস পরিষ্কারে হাত দিতে চায় না তার প্রধান কারণ হলো কীভাবে তা করতে হবে সে বিষয়টা না জানা। ফলে ওই ম্যাট্রেস হয়ে ওঠে ব্যাক্টেরিয়া, ‘ডাস্ট মাইটস’, ছত্রাক, শরীর থেকে ঝরে পড়া মৃতকোষ এবং ধুলাবালির আস্তাকুড়।”
একই ধরনের সেবাদাতা আরেকটি প্রতিষ্ঠান হোম ক্লেঞ্জ’য়ের প্রতিষ্ঠাতা মাইকেল রুবিনো বলেন, “ম্যাট্রেস যদি নোংরা হয় তবে তা পুরো বাসার ভেতরের বাতাসকে দূষিত করে। অপরিষ্কার ম্যাট্রেস ঘুমের আরামও কমায়। যদি নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় তবে ঘরের বাতাস আর ঘুমের মান তো বাড়বেই, সেইসঙ্গে ম্যাট্রেসটাও দীর্ঘদিন টেকসই হবে।”
কতদিন পর পর পরিষ্কার করা উচিত?
কোহুন বলেন, “প্রতি ছয় মাসে একবার ম্যাট্রেস পরিষ্কার করা উচিত। পরিষ্কার করার পদ্ধতিটা বেশ সহজ এবং এই কাজের ফাঁকে ঘরের অন্যান্য কাজও করতে পারবেন।”
ব্যবহারকারীদের মধ্যে অ্যালার্জি কিংবা হাঁপানিজনিত শ্বাসকষ্ট দেখা দেওয়া ঘটনা বাড়তে থাকলে আরও কম সময় পর পর ম্যাট্রেস পরিষ্কার করতে হবে। আর প্রতি ছয় থেকে ১০ বছরে ম্যাট্রেস বদলানো উচিত।