স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে কিছু কথা বলেছেন, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে উদ্বেগজনকও। সম্প্রতি ‘এসডিজি লোকালাইজেশন: ফাইন্ডিংস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি খেদের সঙ্গে বলেছেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে জানেন না।
তাঁদের অনেকের শিক্ষার যোগ্যতার ঘাটতি আছে। তাঁদের জন্য পর্যাপ্ত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা যায়নি। জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের (এনআইএলজি) সক্ষমতার ঘাটতি রয়েছে। এনআইএলজির আর্থিক ও লজিস্টিক ঘাটতি রয়েছে।’
স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসবে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের যোগ্য করে তোলার ক্ষেত্রে সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে? পূর্বসূরিদের কথা যদি বাদও দিই, বর্তমান স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর দায়িত্বও চার বছর পূর্ণ হতে চলেছে। এই সময়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বজ্ঞানশীল করতে তাঁরা কী পদক্ষেপ নিয়েছেন? সংবিধানে স্থানীয় শাসনের তিনটি দায়িত্বের কথা বলা আছে, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো জনসাধারণের কার্য ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন সম্পর্কিত পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন।
দেখার বিষয় সেই পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের সুযোগ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হাতে কতটা আছে? সংবিধানে স্থানীয় শাসনের কথা বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে সেটা পুরোপুরি সরকারের কর্তৃত্বাধীন। উন্নয়ন প্রকল্পের বেশির ভাগ অর্থও আসে কেন্দ্র থেকে। এ অবস্থায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের যথাযথ ভূমিকা রাখা যে প্রায় অসম্ভব, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না।