ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিনুর রশিদ ২০২২ সালের শুরু থেকে ইউনিভার্সিটি ব্রুনাই দারুসসালামে পোস্ট ডক্টরাল ফেলো হিসেবে আন্তর্জাতিক ও তুলনামূলক শিক্ষা বিষয়ে গবেষণা করছেন। তিনি সরকারি শিক্ষাসংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং বেসরকারি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গেও কাজ করেছেন। ২০১৪ সালে তিনি অস্ট্রেলিয়ার মনাশ ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটউট থেকে যথাক্রমে ১৯৯৮ ও ১৯৯৯ সালে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্নকারী মনিনুর রশিদের জন্ম ১৯৭৮ সালে, পাবনায়।
সমকাল: চলমান উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্রের বিতর্কিত প্রশ্ন নিয়ে সমালোচনা আমরা দেখছি। অনেকে একে 'সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক' হিসেবে দেখছেন। আপনার কী মনে হয়?
মনিনুর রশিদ: প্রশ্নটি যেভাবে এসেছে তা দুঃখজনক, উদ্বেগজনক এবং অনাকাঙ্ক্ষিত। একে 'সাম্প্রদায়িক উস্কানি'সহ নানাভাবে দেখার সুযোগ রয়েছে নিঃসন্দেহে। একজন শিক্ষাকর্মী হিসেবে প্রথমেই আমি শিক্ষার দৃষ্টিকোণ থেকে দেখব। পরীক্ষায় কোনো ভালো প্রশ্ন নির্ধারণের আগে প্রশ্নকারীদের বিবেচনা করতে হবে- প্রশ্ন সেট করার উদ্দেশ্য কী এবং এই প্রশ্নগুলোর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কোন শিখনফল অর্জনের মূল্যায়ন করা হবে। একই সঙ্গে প্রশ্ন তৈরিতে প্রদত্ত নীতিমালা তাঁদের অনুসরণ করতে হবে। সেদিক থেকে উচ্চ মাধ্যমিকের চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য এ প্রশ্ন অপ্রাসঙ্গিক, সমস্যাযুক্ত, সংবেদনশীল এবং অগ্রহণযোগ্য। এতে সামাজিক শান্তি বিনষ্ট এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন শিথিল হওয়ার অবকাশ রয়েছে।