ডায়াবেটিস রোগীর খাবার

প্রথম আলো প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০২২, ১৩:০০

প্রত্যেক ডায়াবেটিস রোগীর খাদ্যতালিকা পৃথক হবে। বয়স, ওজন ও উচ্চতা, কাজের ধরন, কায়িক শ্রমের পরিমাণ, জীবনযাপন পদ্ধতি, আর্থিক অবস্থা সবকিছু বিবেচনায় এনে এ তালিকা করা হয়। ডায়াবেটিস হলেই সব খাওয়া নিষেধ, তা নয়। তবে খাদ্য বাছাইয়ে সতর্ক ও সুশৃঙ্খল হতে হবে। পুনরাবৃত্তি ও বিরক্তি ঠেকাতে রোজ একই ধরনের খাবার না খেয়ে বৈচিত্র্য আনারও চেষ্টা করতে হবে। অন্যান্য সাধারণ মানুষের মতো একজন ডায়াবেটিস রোগী সব কটি খাদ্য উপাদান মানে শর্করা, আমিষ, চর্বি, খনিজ, ভিটামিন ইত্যাদি গ্রহণ করবেন। 


ডায়াবেটিস ধরা পড়লে প্রথমেই যা করা দরকার তা হলো সাদা চিনিযুক্ত সব খাবার বর্জন করা। চিনি বা শর্করা অন্যান্য খাবারেও আছে, তাই সরাসরি চিনি বাদ দিলে ক্ষতি নেই। শর্করা খাবার হলো ভাত, রুটি, নুডলস ইত্যাদি। এসব সীমিত পরিমাণে খেতে হবে এবং সাদা চাল ও আটা বা ময়দার পরিবর্তে লাল চাল ও আটা খাওয়া ভালো। এতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বা জিআই কম।


খাবারে শর্করা বিশোষণের হ্রাস–বৃদ্ধির পরিমাপ হলো এই জিআই। এর সূচক ১ থেকে ১০০। যেসব খাবার উচ্চ জিআইযুক্ত, সেগুলো দ্রুত রক্তে শোষিত হয় ও রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে যেসব খাবারে নিম্ন জিআই, সেগুলো ধীরে ধীরে শোষিত হয় বলে শর্করা দ্রুত বাড়াতে পারে না।
● সূচক ৫৫–এর নিচে হলে তাকে নিম্ন জিআই খাবার বলা যায়। যেমন সব ধরনের শাক, ডাল, পাতলা দুধ, মাশরুম, বাদাম, পানিযুক্ত সবজি ইত্যাদি। 


● মধ্যম জিআই (৫৫-৭০) খাবার হলো লাল চাল ও আটা, ভুট্টা, খই, মিষ্টি আলু, ব্রাউন নুডলস বা পাস্তা ইত্যাদি।


● উচ্চ জিআইযুক্ত খাবার (৭০ এর ওপর) হলো, ময়দার রুটি বা পরোটা, আতপ চাল, পোলাও, খেজুর, তরমুজ, কচুর মুখি ইত্যাদি।


খাবার বাছাইয়ের বেলায় জিআইয়ের বিষয়টা মাথায় রাখবেন। প্রতি বেলায় একটি নিম্ন জিআই খাবার বেছে নিন। উচ্চ জিআইযুক্ত খাবার যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন।


● ডায়াবেটিস হলে ক্ষতিকর চর্বি জমে রক্তে ও যকৃতে। ফ্যাটি লিভার ও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই চর্বিযুক্ত খাবার গ্রহণে সতর্ক হবেন। সম্পৃক্ত চর্বি যেমন ঘি, মাখন, মাংসের সঙ্গে লেগে থাকা চর্বি ক্ষতিকর।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us