মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বগতি ঠেকাতে সংকোচনমুখী মুদ্রানীতি অনুসরণের মধ্যেও সরকারি ও বেসরকারি দুই খাতেই ঋণের প্রবাহ বেড়েছে। ফলে সার্বিকভাবে অভ্যন্তরীণ ঋণের প্রবাহও বেড়ে গেছে। এতে মুদ্রানীতির উপকরণগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ওই দুই ধরনের ঋণপ্রবাহে লাগাম টানতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদের হারসহ বিভিন্ন ধরনের স্বল্প সুদের ঋণ তহবিলের সুদ বাড়াচ্ছে। ইতোমধ্যে রেপো সুদের হার তিন দফা ও রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের সুদের হার দুই দফা বাড়ানো হয়েছে।
অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, মুদ্রানীতির উপকরণগুলো ঠিকভাবে কাজ করছে না। যে কারণে ঋণের প্রবাহ বাড়ছে। এছাড়া ঋণের চাহিদায় হঠাৎ করে লাগাম টানা সম্ভব হচ্ছে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক আশা করছে, গৃহীত পদক্ষেপের ফলে ঋণপ্রবাহে লাগাম পড়বে। অর্থনীতির গতিপ্রবাহের মধ্যে ঋণের যে চাহিদা তৈরি হয়েছে তাতে হঠাৎ করে লাগাম টানা যাবে না। ধীরে ধীরে টানতে হবে। এছাড়া সরকার তার ঋণনীতির মধ্যে থাকছে না। যে কারণে সরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বেশিমাত্রায় বেড়েছে। রপ্তানির চাহিদা ও আগের ঋণের সুদ যোগ হয়ে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ বেড়েছে।
সূত্র জানায়, করোনার পর হঠাৎ করে চাহিদা বাড়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের দাম লাগামহীনভাবে বেড়েছে। এর প্রভাব কাটতে না কাটতেই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয় গত ফেব্রুয়ারির শেষদিকে। এতে আন্তর্জাতিক বাজারে পণ্যের সরবরাহ কমে দাম আরও বাড়তে থাকে। এ অবস্থায় বৈশ্বিকভাবে মূল্যস্ফীতির হার লাগামহীনভাবে বাড়তে থাকে। এর প্রভাব ও দেশের বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম বাড়ায় মূল্যস্ফীতির হারও বাড়তে থাকে।