অর্থনীতির সর্বশেষ অবস্থা কী-এ প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পর একমাত্র অর্থমন্ত্রী। কিন্তু অর্থমন্ত্রী খবরের কাগজে অনুপস্থিত। এমতাবস্থায় অর্থনীতির অবস্থা জানার উপায় কী? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তো আছেনই। এর বাইরে রয়েছেন অর্থনীতিবিদ, বিশ্লেষক ও গবেষকরা। দেখা যাচ্ছে, তারা অর্থনীতির অবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে নানা ধরনের ব্যাখ্যামূলক মন্তব্য করছেন।
কেউ বলছেন অর্থনীতি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, কেউ বলছেন অর্থনীতি সংকটে নিমজ্জিত। আবার কেউ কেউ বলছেন অর্থনীতি চাপের মধ্যে আছে, সংকটে পড়েনি। অনেকের ধারণা, আমরা পড়েছি এক অস্বস্তির মধ্যে। মন্দার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্ব অর্থনীতি এক বিপর্যয়ের মুখোমুখি। ভিন্ন ভিন্ন শব্দ ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু তার সুর মনে হয় একই। এবং এ কথা নির্জলা সত্য যে, যেভাবেই ব্যাখ্যা করা হোক না কেন, অর্থনীতি এমন অবস্থায় উপনীত যখন মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। এটা মুখের কথা নয়, সরকারি তথ্যেই প্রকাশ পাচ্ছে।
সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্টের কথা বোঝা যায় একটি সূচক দিয়ে। আর এ সূচকটি হচ্ছে মূল্যস্ফীতি বা ইনফ্লেশনের। সর্বশেষ তথ্যে জানা যাচ্ছে, মূল্যস্ফীতির হার গত অক্টোবরে ছিল ৮ দশমিক ৯১ শতাংশ। বলা হয়েছে, মূল্যস্ফীতি সেপ্টেম্বরের তুলনায় সামান্য কমেছে। হ্যাঁ কমেছে, কিন্তু তা এত সামান্য যে তার উল্লেখ না করলেও চলে। অবশ্য ভরসার কথা এই যে, মূল্যস্ফীতি আর বাড়েনি। এটি অবশ্যই স্বস্তির খবর।
এও স্বস্তির খবর যে, সামনে আমন ধান উঠবে। দেশের অনেক জায়গায় আমন ধান অবশ্য উঠতে শুরু করেছে। এর একটা ইতিবাচক প্রভাব বাজারে পড়বে বলে আশা করা যায়। এদিকে একটা ভালো খবর হচ্ছে, শীতকালীন শাকসবজি বাজারে আসছে, আসছে মাছও-নানা পদের মাছ। এতেও বাজারে ইতিবাচক প্রভাব পড়ার কথা। এ বিষয়ে সরকারের আশাবাদ আমরা ইতোমধ্যে শুনেছি।