যেকোনো কমর্সূচিতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় গণপরিবহন বন্ধ থাকলে কমর্সূচি আহ্বানকারী রাজনৈতিক দল যতটা না ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তার চেয়ে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি হয় বেশি। এতে সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন কিছুটা হলেও কমে। সরকারের প্রতি সাধারণ মানুষের সমর্থন ধরে রাখতে ও জনদুর্ভোগ এড়াতে সমাবেশের আগে গণপরিবহন চালু রাখা যেতে পারে। আগামীকাল শনিবার ফরিদপুরে বিএনপির গণসমাবেশ সামনে রেখে একটি গোয়ন্দা সংস্থার তৈরি করা প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থাটির মতে, গণসমাবেশের সময় পরিবহন বন্ধের কারণে জনদুর্ভোগের বিষয়টি গণমাধ্যমে অতিরঞ্জিত করে প্রচার করা হয়েছে, যাতে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ উপলক্ষে কয়েকটি স্থানে শুরু থেকেই বিএনপির নেতা–কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এমন পরিস্থিতিতে ফরিদপুর বিভাগে গণসমাবেশ উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফরিদপুরে যেখানে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ হবে, কোমরপুরের সেই আব্দুল আজিজ ইনস্টিটিউট মাঠের ধারণক্ষমতা ২০-২২ হাজার। এ সমাবেশে ২৫ থেকে ৩০ হাজার লোকের সমাগম হতে পারে। বিভিন্ন জেলার বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ মনোমালিন্য থাকায় তাঁরা পৃথক পৃথকভাবে সমাবেশে যোগ দেবেন।