হত্যা, হত্যাচেষ্টা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি এ উপমহাদেশের পিছু ছাড়েনি। ছায়ার মতো লেগে আছে। গত সপ্তাহে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ছোড়া হয়। গুলি তাঁর পায়ে লাগায় এ যাত্রায় তিনি বেঁচে যান। পিস্তলধারী দুস্কৃতকারীর গুলিতে একজন প্রাণ হারায় এবং ১৪ জন আহত হয়। তবে ইমরান খানের বেঁচে যাওয়ার কারণ ইবতেসাম নামে এক যুবক। সে যুবক পিস্তলধারী দুস্কৃৃতকারীর শরীর জাপটে ধরায় ইমরান বেঁচে যান। তা না হলে হয়তো ভয়াবহ কিছু ঘটত।
১৯৫১ সালে রাওয়ালপিন্ডির এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী খানকে গুলি করে হত্যা করা হয়। যে ব্যক্তি তাঁকে গুলি করে হত্যা করেছিল; পুলিশ সে খুনিকে হত্যা করে এর বিচারকে সেখানেই শেষ করে দেয়। ১৯৭৯ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টোকে সাজানো বিচারে ফাঁসি দেওয়া হয়। এ কারণে জেনারেল জিয়াউল হককে অভিযুক্ত করা হয়। ১৯৮৮ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউল হকও বিমান নাশকতার শিকার হয়ে মারা যান। ২০০৭ সালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো রাওয়ালপিন্ডিতে খুন হন। এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার আজও হয়নি। কিন্তু হত্যা ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি থেমে থাকেনি।