মহাসংকটের মুখে জো বাইডেনের প্রেসিডেন্সি

কালের কণ্ঠ গাজীউল হাসান খান প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২২, ১১:১৫

যেদিন থেকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর ডেমোক্রেটিক দলীয় নেতারা বিশ্বকে টিকিয়ে রাখার পরিবর্তে তাঁদের আমেরিকার আধিপত্য বজায় রাখার সিদ্ধান্তকে প্রাধান্য দিতে শুরু করেছিলেন, সেদিন থেকেই তাঁদের দলের অধঃপতন শুরু হয়েছিল। ইউক্রেনের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার জন্য রাশিয়ার প্রতি প্রাণপণে উসকানি দিয়ে যাচ্ছিলেন জো বাইডেন ও তাঁর সামরিক আস্তানা পেন্টাগন এবং তাতে চোখ বন্ধ করে সমর্থন ও মদদ দিয়ে যাচ্ছিল যুক্তরাজ্যসহ তাদের ইউরোপীয় তাঁবেদাররা। তার প্রতি-উত্তরে দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের রুশভাষী সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল মুক্ত করার জন্য হামলা শুরু করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এবং পাশাপাশি ইউরোপ, বিশেষ করে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোয় তেল ও গ্যাসসহ -রবরাহ বন্ধ করে দেন পুতিন।


এতে তীব্র জ্বালানিসংকটে ইউরোপের কিংবা বৃহত্তরভাবে বিশ্বের উৎপাদন, পরিবহন ও যোগাযোগ খাত প্রায় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। দিন দিন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি শুধু ইউরোপ, এশিয়া কিংবা আফ্রিকায়ই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এবং নাগরিকজীবনেও কঠোর আঘাত হানতে শুরু করে। সে কারণে মানুষ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর ডেমোক্রেটিক দলের ওপর ভেতরে ভেতরে অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিগত দিনগুলোতে এ বিষয়টি একটি বিরাট ইস্যুতে পরিণত হতে থাকে, যার বহিঃপ্রকাশ ঘটে শেষ পর্যন্ত ভোট গণনায়। ডেমোক্রেটিক দলের এক ধরনের ভরাডুবিই হয়েছে।


উল্লিখিত এই পরিস্থিতির মধ্যে আমেরিকার রাজনীতিতে এক কট্টর ‘শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদী’ হিসেবে পরিচিত রিপাবলিকানদলীয় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মাঠে নেমে পড়েন আগামী ২০২৪ সালে অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য তাঁর প্রার্থিতা জাহির করতে। ট্রাম্পের সমর্থনকারী, বিশেষ করে তাঁর দলের উগ্র জাতীয়তাবাদীরা মধ্যবর্তী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর ডেমোক্রেটিকদলীয় প্রশাসন ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতার কথা তুলে ধরেন। তাতে যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী সাধারণ নাগরিকরা (বিশেষ করে নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণি) ক্রমে ক্রমে বাইডেন, তাঁর প্রশাসন ও দলীয় রাজনীতির বিরুদ্ধে চলে যায়। তবে শ্রেণি-চরিত্রগত দিক থেকে আজকাল রিপাবলিকান দল কিংবা তাদের রাজনীতির সঙ্গে বেশির ভাগ ডেমোক্রেটিক দলের নেতাদের বিশেষ বিভেদ দেখা যায় না। তাদের উভয়ের কাছে ‘বিশ্ব জাহান্নামে যাক, আমেরিকা ফার্স্ট। ’ প্রাজ্ঞ-প্রবীণ ডেমোক্রেটিকদলীয় প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে বিশ্বব্যাপী মানুষ কিছুটা যুগোপযোগী প্রগতিশীল ধারার রাজনীতি প্রত্যাশা করেছিল; কিন্তু তিনিও মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী, আধিপত্যবাদী ও ঘুণে ধরা পুঁজিবাদী শোষণ-শাসনের রাজনীতিতেই ঝাঁপিয়ে পড়েন। প্রেসিডেন্ট বাইডেনেরও ধারণা, সংঘাত কিংবা যুদ্ধবিগ্রহে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেলেও পরাশক্তিগতভাবে বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য ধরে রাখতে হবে। এ ছাড়া অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও সামরিক অগ্রগতির দিক থেকে চীনের অভ্যুদয় ঠেকাতে হবে। পাশাপাশি পশ্চিমা সামরিক জোটভুক্ত ন্যাটোর ইউরোপীয় দেশগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে রাশিয়াকে ভেঙে টুকরা টুকরা করে দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে রিপাবলিকান দলের সাম্রাজ্যবাদী বা আধিপত্যবাদী রাজনীতির সঙ্গে ডেমোক্র্যাটদের এখন আর বিশেষ কোনো পার্থক্য দেখা যাচ্ছে না।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us