মানবমস্তিষ্ক এক বিস্ময়কর সৃষ্টি এবং মহাবিশ্বের সবচেয়ে জটিল জৈবিক কাঠামো। এটি দেহের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র ও স্নায়ুতন্ত্রের অংশ। এর মধ্যে রয়েছে স্নায়ুু ও নিউরনের বিশাল নেটওয়ার্ক। তাই মস্তিষ্কের যে কোনো ক্ষতি বা ব্যাধি সারা শরীরে বিভিন্ন তীব্রতায় একাধিক প্রভাব ফেলতে সক্ষম। যেমন- স্মৃতি, সংবেদনশীলতা, ব্যক্তিত্ব, এমনকি সাধারণ জীবনযাপনেও প্রভাব ফেলতে পারে।
টিউমার, আলঝেইমার্স, পারকিনসন’স, স্মৃতিভ্রংশ, এএসএল (অ্যামিওট্রফিক ল্যাটারাল স্কেলেরোসিস) সহ আরও অসংখ্য মস্তিষ্কজনিত রোগ রয়েছে। বয়সজনিত নিউরোডিজেনারেটিভ ব্যাধির মধ্যে আলঝেইমার্স রোগের পরই পারকিনসন’স রোগ বেশি দেখা যায়। মস্তিষ্কের যেসব স্নায়ুুকোষ বা নিউরন আমাদের চলাফেরা নিয়ন্ত্রণ করে, পিডির ফলে সেগুলো দুর্বল হয় বা মরে যায়। স্বাস্থ্যকর নিউরন ডোপামিন নামক এক রাসায়নিক তৈরি করে। ফলে শরীরের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের জন্য মস্তিষ্কের প্রয়োজন। অন্যদিকে দুর্বল নিউরন কম ডোপামিন উৎপাদন করে।