ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এতদিনে একটা যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে ধন্যবাদ। কিছু দিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শতবর্ষ উপলক্ষে একটা গবেষণা মেলার আয়োজন করেছিল। সবাই যদিও বিষয়টিকে বাহবা দিয়ে প্রশংসার জোয়ারে ভাসিয়েছে, আমার কাছে মনে হয়েছে এই মেলা বিশ্ববিদ্যালয়কে জাতীয়করণ এবং রাষ্ট্রের অর্থ অপচয়ের নামান্তর মাত্র। কেন সেটা মনে করছি অন্য একটি লেখায় তা বিশদভাবে তুলে ধরবো। আমি মনে মনে অনেক কিছু ভাবছিলাম। ভাবছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাদের শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে অনেক যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত নিতে পারতো। দেরিতে হলেও দুটি সিদ্ধান্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গ্রহণ করেছে। তার একটি হলো ছাত্রদের দ্বারা শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রবর্তন আর অন্যটি স্নাতকোত্তরে বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে ছাত্র ভর্তির সুযোগ। এই দুটি সিদ্ধান্তই ছিল সময়ের দাবি।
গত ১২ অক্টোবর প্রথম আলো অনলাইনে ‘ঢাবিতে শিক্ষকদের মূল্যায়ন করার সুযোগ পাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। মূল খবরে একজন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকের বরাত দিয়ে বলা হয়, শিক্ষক মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু হলে কোন শিক্ষক কেমন পড়ান, তাঁর কোর্সের বিষয়বস্তু কেমন, তিনি সময় মতো ক্লাসে যান কিনা, সার্বিক বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত দেওয়ার সুযোগ তৈরি হবে। কোনও একটি কোর্স অধ্যয়ন শেষে শিক্ষার্থীদের একটি করে ফরম দেওয়া হবে। সেখানে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মতামত জানতে চাওয়া হবে।