শীতকাল আসতে আর বেশি দেরি নেই। এই সময়ে ত্বককে শুষ্ক হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে অনেক কিছুই ব্যবহার করেন। কেউ গোটা মরসুম জুড়েই সারা গায়ে তেল মাখেন, তো কেউ ভরসা করেন বডি লোশনের উপর। এই শীতকালেই আবার খুব বেশি বিক্রি হয় কোল্ড ক্রিম। কিন্তু এই সব প্রসাধনীই শুষ্কতার হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করার জন্য। যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, তাঁরা মনে করেন আলাদা করে মুখে আর কিছুই ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। কারণ, আপাতদৃষ্টিতে ত্বকের বাইরে যে তেলতেলে ভাব, তা কখনওই মুখের চামড়াকে শুষ্ক হতে দেয় না। কিন্তু মুখ পরিষ্কার করার পর ত্বকের উপরিভাগের তেল সরে গেলেই ত্বক আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। বিশেষ করে যাদের মুখের অন্যান্য অংশের চেয়েও ‘টি-জোন’ বেশি তৈলাক্ত, তারা এই সমস্যার সম্মুখীন হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিরাচরিত এই ধারণা কিন্তু আদৌ যুক্তিযুক্ত নয়। মুখের উপরে তেলের আস্তরণ সরে গেলেই বোঝা যায় তৈলাক্ত ত্বকেও জলের ঘাটতি রয়েছে। সে ঘাটতি পূরণ করতে পারে ভাল মানের ময়েশ্চারাইজার।
তৈলাক্ত ত্বক মানে ব্রণর উৎপাত এবং অতিরিক্ত সেবাম নিঃসরণ। বাইরে থেকে ত্বক তেলতেলে দেখতে লাগলেও মুখের অতিরিক্ত তেল, ত্বকে জলের ঘাটতি পূরণ করতে পারে না। তা ছাড়াও মুখের এই অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার করার সঙ্গে সঙ্গেই ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে। তখন ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজারের প্রয়োজন পড়ে। ময়েশ্চারাইজারের মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপাদান, ত্বকে আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করতে অনেকেই 'অয়েল কন্ট্রোলিং' প্রসাধনী ব্যবহার করেন। তখন ত্বক শুষ্ক হয়ে যাওয়ার প্রবণতা বেশি হয়।