আমগাছে তেঁতুল ধরে, নাকি তেঁতুলগাছে ফলে আম? এ প্রশ্নের উত্তর সবারই জানা। প্রকৃতির নিয়মেই আমগাছে আম ফলবে, তেঁতুল গাছে তেঁতুল। এটাই বাস্তবতা ও চিরন্তন সত্য। কিন্তু দেশে কিছু প্রতিষ্ঠান আছে, যারা লাগাচ্ছে তেঁতুলের চারা, আর আশা করছে ফজলি আম। এটা কীভাবে সম্ভব? এটা যে সম্ভব নয় তার প্রমাণ এখন হাতে হাতে মিলছে। সরকার ‘নয়-ছয়’ সুদ নীতি করিয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংককে দিয়ে। আমানতে সুদ হবে ৬ শতাংশ আর ঋণের ওপর সুদ হবে ৯ শতাংশে। উদার হবে আনুষঙ্গিক সুদনীতি।
প্রত্যাশা, এতে বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়বে। বড় বড় ঋণগ্রহীতারা সহজে ও স্বল্পসুদে ঋণ পেয়ে তাদের উৎপাদন খরচ কমাতে পারবেন। ফলে তারা বাজারে-বিশ্ববাজারে আরও প্রতিযোগী হবেন। এরকম অনেক যুক্তি দেখানো হয়েছে। বলা হয়েছে, এতে ঋণখেলাপ সমস্যার সমাধান হবে। ঋণগ্রহীতারা ঋণ ও সুদের ভারে কাহিল থাকবে। বলা হয়েছিল, ঋণের ওপর সুদের হার কম থাকলে দেশের অর্থনীতি উপকৃত হবে, গ্রাহকরা উপকৃত হবেন।