দেশে স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রবৃদ্ধি বিস্ময়কর। দুই যুগে সংখ্যার প্রবৃদ্ধি ৮০০ শতাংশ। বছর চল্লিশেক আগে দেশে মেডিকেল ছিল ৮টি এখন তা শতের উপর; এগুলো যে বৃদ্ধির প্রয়োজন ছিল না তা নয়; এখন জনসংখ্যার তুলনায় আমাদের চিকিৎসকের সংখ্যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মাপকাঠিতে দক্ষিণ এশিয়াতেও তলানির দিকে। কিন্তু তাই বলে মানহীন মেডিকেল কলেজ করে যে মানের চিকিৎসক তৈরি হচ্ছে তা স্বাস্থ্যসেবায় হিতে বিপরীত ফল বয়ে আনবে।
অনেক বেসরকারি এমনকি সরকারি মেডিকেল কলেজেও প্রয়োজনীয় শিক্ষক নেই। এমন অনেক সরকারি মেডিকেল কলেজও আছে যেখানে একটি বিভাগে সেই বিষয়ে স্নাতকোত্তর একজন শিক্ষকও নেই।
শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে শেখানোর জন্য ল্যাবরেটরি নেই, যন্ত্রপাতি নেই। যে ওয়ার্ডগুলো শিক্ষার্থীদের চিকিৎসা শিক্ষার লাইব্রেরি, রোগী ধরে ধরে পাঠ করার কথা, সেখানে অধ্যাপকের যাওয়ার ফুরসত মেলে না। নিবন্ধকদের রোগী সামলাতে, তৈলবাজি করতে, সংগঠন করতে করতেই সময় গায়েব।
চটি বই পড়ে, প্রাইভেট পড়ে ধরে-টরে এমবিবিএস পাস হলে একটি সনদ মিলবে, বিএমডিসির নিবন্ধনে রোগী দেখে পয়সাকড়িও বিস্তর হবে কিন্তু মানবিক মানসম্পন্ন স্বাস্থ্যসেবা হবে না।
বেসরকারি মেডিকেল কলেজের অবস্থা তো ভয়াবহ; প্রভাবশালী ব্যক্তিরা চোখের নিমিষে একেকটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছেন, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কাড়ি কাড়ি অর্থ নিচ্ছেন কিন্তু শিক্ষায় লবডঙ্কা।