সাজাপ্রাপ্ত ৮ খুনির হদিস নেই

আজকের পত্রিকা প্রকাশিত: ০৩ নভেম্বর ২০২২, ০৯:০১

সাতচল্লিশ বছর আগে, ১৯৭৫ সাল। দিনটি ছিল ৩ নভেম্বর। সেদিন মধ্যরাতে বেআইনিভাবে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করে খুনিদের একটি দল। কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে তারা নৃশংসভাবে হত্যা করে জাতীয় চার নেতা–সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, এম মনসুর আলী এবং এ এইচ এম কামারুজ্জামানকে। তদানীন্তন শাসকগোষ্ঠীর প্রত্যক্ষ ছত্রছায়ায় এই নৃশংস খুন হয়েছিল। আজ কলঙ্কের সেই দিন।


সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে সেই হত্যাকাণ্ডের বিচারের চূড়ান্তভাবে নিষ্পত্তি হয়েছে, ২০১৩ সালে।


তিনজনের হয়েছে মৃত্যুদণ্ড। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয় আটজনকে। কিন্তু সাজাপ্রাপ্ত ১১ জনের মধ্যে ১০ জন এখনো পলাতক। এই মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় ২০২০ সালে তার ফাঁসি কার্যকর হয়।


পলাতকদের মধ্যে মোসলেহ উদ্দীন, দফাদার মারফত আলী শাহ ও দফাদার আবুল হাসেম মৃধা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত। আর খন্দকার আবদুর রশীদ, শরিফুল হক ডালিম, নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী, আহমেদ শরিফুল হোসেন, কিসমত হাশেম ও নাজমুল হোসেন আনসারের হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। তাঁদের মধ্যে ছয়জন বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায়ও দণ্ডিত ছিলেন।


আসামির মধ্যে কেবল যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কর্নেল (অব.) এমবি নূর চৌধুরী কানাডায় এবং লে. কর্নেল (অব.) এএম রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে আছেন বলে জানা গেছে। বাকি আট আসামির কে কোথায় আছেন সে বিষয়ে কোনো তথ্য নেই সরকারের কাছে।


জানতে চাইলে পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা ও জেলহত্যা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সব ব্যক্তির সন্ধানে সক্রিয় আছে বাংলাদেশের সব দূতাবাস ও মিশনসমূহ। 


নূর চৌধুরী ও রাশেদ চৌধুরীকে ফেরাতে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তদবির করে চলেছে সরকার ২০০৯ সাল থেকে।


সর্বশেষ, নূর চৌধুরীকে ফেরত পাঠানোর জন্য বিকল্প পথ খুঁজতে কানাডাকে অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। মঙ্গলবার সচিবালয়ে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে মন্ত্রী তাঁকে এই অনুরোধ জানান।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us