বাংলাদেশে ২০২১-২২ অর্থবছরে চাল ও গম উৎপাদন হয়েছে ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৩০ হাজার টন। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এর পরিমাণ ছিল ৩ কোটি ৭৩ লাখ টন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, দেশে গত পাঁচ বছরে জনসংখ্যা বাড়ার হার সোয়া ৫ শতাংশের বেশি। কিন্তু খাদ্যোৎপাদন বাড়ার হার ৪.৪ শতাংশেরও কম। জনসংখ্যা বাড়ার বিপরীতে প্রতিবছর দেশে বড় ধরনের উৎপাদন ঘাটতি তৈরি হচ্ছে। খাদ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০-২১ অর্থবছরে চাল ও গম আমদানি করা হয়েছিল ৬৭ লাখ ৩০ হাজার টন। অথচ ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি নেমে এসেছে ৪৯ লাখ ৯৯ হাজার টনে। বিশ্ববাজারে খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও ডলারের বিনিময় হার বাড়ার ফলে আমদানি কমিয়েছে সরকার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন বারবারই বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের পূর্বাভাস স্মরণ করিয়ে জনগণকে সাশ্রয়ী হতে পরামর্শ দিচ্ছেন। এখানে স্মরণ করা যেতে পারে, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে তিনি 'জাতিসংঘ ফুড সিস্টেমস সামিট ২০২১' শীর্ষক ভার্চুয়াল এক সম্মেলনে বলেছেন, 'বর্তমানে বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদন বাড়ার হার জনসংখ্যা বাড়ার হারকে ছাড়িয়ে গেছে। বাংলাদেশ খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠেছে।' (প্রথম আলো, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২১) আমরা সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রীর মুখেও দীর্ঘদিন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে ওঠার কথা শুনেছি। হরহামেশা সর্বত্র তাঁরা এ অগ্রগতির বার্তা শোনাতেন।